বঙ্গবন্ধু হলো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। আর তারই সুযোগ্য কন্যা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রীর স্বপরিবারকে প্রাণনাশ করেছিল একদল দুষ্কৃতিকারীরা। তারা এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা একেবারে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেনি তারা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন দেশে না থাকায় বেঁচে যান। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে দেশে ফিরেছিলাম।
বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তিনি লক্ষ্য নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য হলো শোষিত-বঞ্চিতদের ভাগ্য পরিবর্তন করা। একটি মর্যাদাবান জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে পারা। অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে, কিন্তু আমরা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি। ”
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে কার্যত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা গণতন্ত্রকে প্রাণনাশ করেছে, সামরিক শাসন জারি করেছে। আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। পরে জনগণের সাড়া পেয়ে দেশে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের চেষ্টা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ইনডেমনিটি অ্যাক্ট জারি করে সেই বিচার বন্ধ করে দেয়।’
এই আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর থেকে নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেই ধারনা বাস্তবায়নের অন্যতম ক্ষেত্র হবে। আশা করা যায় এই ইনকিউবেটর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইটি সেক্টরে দক্ষ স্নাতক তৈরি করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রসঙ্গত, দেশের হতদরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্ট সইতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী দেশের টানে এসেছিলেন ফিরে। তার ফিরে আসাতেই বাংলার মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। বাংলার মানুষ আজ শান্তিতে দুবেলা খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সুস্থ্যতা কামনা করেন।