সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ফারদিন নূর হোসেনের হ”/ত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছে। এই ঘটনার পেছনে তার প্রেমিকার হাত থাকতে পারে এমনটি ধারনা করা হচ্ছে। ফারদিনের নিথর কান্ডে তার বান্ধবী আহমাদুল্লাহ্ বুশরাকে গ্রেফতার হয়েছেন। ফারদিনের বাবা বুশরা এবং বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে এই ঘটনায় দায়ী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এবার নাম উঠে এলো আরেক তরুনীর, তিনি হলেন আরিশা আশরাফ। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে আরিশা ফারদিনের প্রেমিকা।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফারদিনের প্রেমিকা হিসেবে নাম প্রকাশের পর প্রতিবাদ করেছেন আরিশা আশরাফ নামের ঐ তরুণী। বৃহস্পতিবার নিজের ফে’সবুক আইডি থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি প্রতিবাদ জানান।
তার ফে’সবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আপনারা যারা ফেইক নিউজ শুনে নিজেদের মতো জাজমেন্ট দিয়ে দিচ্ছেন, দয়া করে শুনুন, মিডিয়ার বেশিরভাগ খবরই মিথ্যা। শুধু কিছু একটা লিখতে হবে দেখে মনের মত যা ইচ্ছে লিখছে।
তার প্রমাণ আরিশা আর বুশরাকে মিক্স আপ করে ফেলা। আমি আরিশা আশরাফ। আমি আহমাদুল্লাহ বুশরা নই।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাতে তিনি লিখেছেন, ফারদিন নূর সেদিন আমাকে ড্রপ করতে আসেনি। আমি আহমাদুল্লাহ্ বুশরা নই। আরটিভির মতো একটি স্বনামধন্য টিভি চ্যানেল এবং অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা আসলে ম”রার ওপর খাড়ার ঘা এর মতো। সেই খবরের নিচের মন্তব্যগুলো দেখলে বোঝা যায়, একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে শান্ত থাকা সম্ভব নয়।
আপনারা যারা মিডিয়ার ভুয়া খবর শোনেন এবং নিজের মত রায় দেন, দয়া করে শুনুন, মিডিয়ার তৈরি বেশিরভাগ খবরই মিথ্যা। তারা শুধু লিখেছে যে লিখতে হবে তাই। তারা কতটা মা”/তালের মতো নিউজ বানাচ্ছে সেটার প্রমাণ আরিশা আর বুশরাকে মিক্স আপ করে ফেলা। আজ আরটিভির খবর দেখার পর তামিম বিন নূরকে (ফারদিন নূরের নিজের ছোট ভাই) জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, আমি এখন কী করব? তারা এতটাই বিচলিত হয়ে পড়েছে যে তারা বলেছে, “আপু বাদ দেন যা মন চায় করুক ওরা। ”
দয়া করে এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ফারদিন নূরের কোনো প্রেমিক ছিল না। আমি বা বুশরা কেউই তার প্রেমিকা ছিলাম না। আমি পরবর্তী পোস্টে আমার বিষয়টি ক্লিয়ার করবো, প্রথমে বুশরার কথা বলি। ফারদিন নূর যখন নিখোঁজ ছিলেন, তখন তার ভাইয়েরা বুশরার সাথে তার মেসেঞ্জার কথোপকথন পুরো সব পড়েছিল, তার ল্যাপটপ পুলিশ জব্দ করার আগে। যেখানে আপ”ত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
সে আর দশটা ছেলের মত ছিল না। এগুলো কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। এ জন্য তাকে রোবট বলা হয়। নামটি দিয়েছেন সুদীপা হালদার। তার আলোচনার বিষয় ছিল বই বা ভালো সিনেমা বা দার্শনিক আলোচনা। কমেন্টে তার সবচেয়ে কাছের মানুষ সাজ্জাজ ভাইয়ের একটা পোস্টের লিংক দিচ্ছি, পড়ুন তার সম্পর্কে একটু ধারণা পাবেন।
আমার সাথে তার সম্পর্ক কি তা আমি পরের পোস্টে বলব। দয়া করে না জেনে মৃত ব্যক্তির কথা বলবেন না। তার পরিবারের কথা ভাবুন। দয়ালু হোন, ঈশ্বরের জন্য।
আমার সঙ্গে প্রয়াত ফারদিনের সাথে কি ধরনের সম্পর্ক রয়েছে সে বিষয় নিয়ে আমি পরবর্তী পোস্টে সব কিছু জানাবো, তাই দয়া করে কেউ একজন প্রয়াত ব্যক্তির সাথে আমাকে জড়িয়ে কোন ধরনের কথা বলবেন না। তাদের পরিবারের আজ কি অবস্থা, সেটা আপনারা ভাবেন। আপনারা একটু সহমর্মিতা দেখান, ফর গড শেক।
আরিশা আশরাফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া শেষ হলো: