বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ফারদিন হ”/ত্যার ঘটনায় বান্ধবী বুশরা সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন ফারদিনের বাবা। এবার তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার আগের দিন ফারদিনের সাথে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন বুশরা। মামলার পর গ্রেফতার হন বুশরা এরপর তাকে রিমা”ন্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন এবং মামলার বিষয়ে মাঝে মাঝে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। ফারদিনের বাবা নুরুদ্দিন রানা বুশরাকে প্রধান আ’সামি রেখে মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফারদিনের বান্ধবী বুশরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। কিন্তু মামলায় তাকে আসা’মি করা হয়।
বুশরার সম্পৃক্ততা সন্দেহের কারণ জানতে চাইলে নুরউদ্দিন রানা বলেন, বুশরা যদি এই নিথর কাণ্ডে জড়িত না থাকে তাহলে খুব খারাপ হবে। কিন্তু পরীক্ষার আগের রাতে বুশরার সঙ্গে ৫-৬ ঘণ্টা কাটানোর কথা নয় ফারদিনের। আর তাকে বাসার পাশে নামিয়ে দেওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ফারদিন। তাই আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না যে বুশরা এই নিথর কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।
বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে ছেলের ঘটনার তদন্তে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন কাজী নূরউদ্দিন রানা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফারদিনের বন্ধু বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সে ফারদিনের সঙ্গে ছিল। ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে খুবই স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খেয়েছেন তারা। কিন্তু দুজনে আলাদা করে বিল পরিশোধ করেন।
র্যাব বলছে, ফারদিন নিথর কান্ডের সঙ্গে জড়িতদের প্রায় খুঁজে বের করা হয়েছে। নজরদারিতে আছে।
র্যাবের দাবি, চনপাড়ার রায়হান গ্যাং ও তার সহযোগীরা ফারদিনকে হ”/ত্যা করেছে। রায়হান ও তার সহযোগীদের গ্রেফ’তার করা হয়েছে বলেও খবর বেরিয়েছে। র্যাব কি আপনাকে ডেকে এসব ব্যাপারে কিছু জানিয়েছে? ফারদিনকে চানপাড়াতেই নিথর করা হয়েছে বলে মনে করেন? এসব প্রশ্নের জবাবে বাবা নুরউদ্দিন বলেন, ‘জিডি করার পর র্যাবের তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে মামলার পর থেকে তারা কোনো আপডেট দেয়নি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার নিথর হয়ে থাকা দেহটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে প্রধান আসামি করেন এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। মামলা দায়েরের পর বুশরাকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ এবং এরপর তাকে ৫ দিনের রিমা”ন্ডে নেয়। রিমা”ন্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ফারদিনের নিথর কান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ডিবি। তারা জানিয়েছেন স্বাভাবিক ভাবে অন্য দিনগুলোর মতোই সে তার বান্ধবীর সাথে ছিলেন।