বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে হ”/ত্যার ঘটনার পর এখন পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি ঘটাতে পারেনি। তবে তারা ধারনা করছেন নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আলোচিত নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ী রায়হান গ্রুপ ফারদিনের ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে র্যাব এবং গোয়ান্দাদের ধারনা কোথাও মিলছে না। তবে এবার নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া এলাকার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের আলোচিত প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বজলুর রহমান ওরফে বজলু মেম্বারকে গ্রে’ফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে চনপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রে”ফতার করা হয়।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এ তথ্য জানান।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিযানে র্যাবের ওপর হাম”লার অভিযোগে চনপাড়া এলাকার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বজলুর রহমানকে গ্রে’প্তার করা হয়।
ফারদিনের ঘটনার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, আমরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
সূত্র জানায়, বজলুর রহমান চানপাড়া বস্তিতে ‘বজলু মেম্বার’ নামে পরিচিত। বজলুসহ তার চার ভাই পুরো বস্তি নিয়ন্ত্রণ করতো। তাদের সঙ্গে রয়েছে কয়েকজন সশ”স্ত্র স”ন্ত্রা/সী। তারা নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসা, মা”রধর ও খু”/নসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
বুয়েটছত্র ফারদিনকে নিথর করার পর ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই বজলু মেম্বর।
সম্প্রতি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযু”/দ্ধে’ নিষিদ্ধ দ্রব্য ও হ”/ত্যাসহ ২৩টি মামলার আসা’মি সিটি শাহীন (৩৫) নিহ”/ত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, সিটি শাহীনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন অ”/স্ত্রধারী র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গু”/লি চালায়। এ সময় র্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গু”/লি চালালে সিটি শাহীন গু’লিবি”/দ্ধ হন।
পরে শাহিনকে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি প্রয়াত হন।
এ ঘটনায় র্যাবের পাঁচ সদস্য আহ’ত হয়েছেন। এরপর ১১ নভেম্বর র্যাব সদস্যকে লাঞ্ছিত ও হ”/ত্যাচেষ্টার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই বাহিনীর কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান।
এদিকে ফারদিনের বাবা দবি করছেন মামলা ভিন্ন দোকে ঘোরানোর চেষ্টা চলছে, যার কারণে এক সময় মামলাকে মন্থর করে দেওয়া হবে। তিনি দাবি করেন, ফারদিনের বান্ধবী বুশরার সাথে ৫-৬ ঘন্টা সময় কাটানোর পর তার ছেলে নিখোজ হন। তাই বুশরা এই ঘটনার সাথে জড়িত নয় বা সংশ্লিষ্টতা পায়নি এমনটি কেন বলা হচ্ছে। বুশরাকে ফারদিনের ঘটনায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।