২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের শুরুতেই সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে অনেকটা ভেঙেই পড়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু পরবর্তীতে টানা প্রতিটি ম্যাচ জিতে ফুটবল প্রেমী কোটি কোটি ভক্তের মনের মাঝে এক নতুন আশা জুগিয়েছে সেই আর্জেন্টিনা’ই। এদিকে আগামীকাল রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে শক্তিশালী ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। আর এরই মধ্যে এবার এলো আরেক সুসংবাদ।
টুর্নামেন্ট চলাকালেই চোটে পড়েছিলেন দলের অন্যতম সেরা তারকা আনহেল ডি মারিয়া। যদিও তা খুব গুরুত্বপূর্ণ ইনজুরি নয়, তবে ৯০ মিনিট খেলার মতো ফিট ছিলেন তিনি।
যে কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিকল্প হিসেবে তাকে খেলানো হয়েছিল। তবে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তবে ফাইনালের আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে গেছেন এই উইঙ্গার।
একদিনের বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ফাইনালের জন্য অনুশীলন শুরু করে আর্জেন্টিনা। তবে এদিন মাঠে ঘাম ঝরিয়েছেন শুধু বেঞ্চের খেলোয়াড়রা। কোচ লিওনেল স্কালোনি অনুশীলনের জন্য তাদের দুটি গ্রুপে ভাগ করেছেন।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশে থাকা খেলোয়াড়রা সময় কাটান জিমে।
ফিট থাকলেও ডি মারিয়া ফ্রান্সের বিপক্ষে শুরুর একাদশে থাকবেন কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। এর আগে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই আর্জেন্টিনার হয়ে শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কোচ স্কালোনি তেমন কোনো ঝুঁকি নেননি।
এদিকে, ফাইনালে পাপু গোমেসের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনও শঙ্কা রয়েছে। গোড়ালির ইনজুরি কারণে সেভিয়া ফরোয়ার্ড খেলেননি ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে কার্ড নিষেধাজ্ঞা শেষে ফাইনালের একাদশে ফিরতে পারেন দুই ডিফেন্ডার মার্কোস আকুইনা ও গনসালো মন্তিয়েল।
এদিকে মেসি প্রেমী কোটি কোটি ভক্তদের এক একটাই চাওয়া। এবার বিশ্বকাপটা মেসির হাতেই দেখতে চান তারা। যেহেতু এরপর আর কখনই ফুটবল বিশ্বকাপে মেসিকে দেখা যাবে না, সেহেতু সকলের এখন এই একটাই চাওয়া।