সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছে আওয়ামীলীগ দলের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনা। অবশ্যে ঐ অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও উপস্তিত রয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে সমালোচনা করেছেন বিনেপি দলের নেতারা। এবার তাদের করা সমালোচনার কঠোর জবাব দিলেন আওয়ামীলীগ দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
‘প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরে কোনো অর্জন নেই’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল সাহেব কোনো খবর রাখেন না, নিউইয়র্ক টাইমস আপনি পড়েননি। জাতি সংঘের সাধারণ অধিবেশনের বক্তব্যসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেকটি বক্তব্য প্রশংসিত হয়েছে বিশ্ব নেতাদের কাছে। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার ভ্যাকসিন বৈষম্য দুর করতে বলেছেন। সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে বলেছেন। ফখরুল সাহেব এটা কি আপনি শোনেনি, নিউইয়র্ক টাইমস কি দেখেছেন। বলা হয়েছে দারিদ্র্য দুর করার কথা বললে বাংলাদেশের দিকে তাকান, শেখ হাসিনার উন্নয়নের দিকে তাকান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে নামি দামি দেশগুলো আমাদের জন্য কিছু করেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা সাহসের সঙ্গে তার বক্তব্যে বলেছেন। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় বাংলাদেশ আরও এক ধাপ উঁচুতে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো উঁচুতে উঠেছেন। আর আপনারা, বিএনপি আরো এক ধাপ নিচে নেমে গেছে। ওবায়দুল কাদের বলছেন, বিএনপি স/হিং/স/তা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপির সিরিজ বৈঠক সিরিজ ষড়/য/ন্ত্র। আবারো যদি সেই জ্বা/লাও পো/ড়াও এর দুরভিসন্ধি থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা মৃ/ত্যু/র মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গান, ধ্বংস স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়ান। তিনি দেশে ফিরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হ/ত্যা/র বিচার হয়েছে, যু/দ্ধা/প/রা/ধী/দে/র বিচার হয়েছে।
আওয়ামীলীগ দলটি টানা ৩ মেয়াদে দেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই দলটি ক্ষমতায় থাকায় দেশে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। এমনকি দেশে অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ এই সরকারের আমলে।