বাংলাদেশের প্রধান সারির দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। বর্তমান সময়ে এই দলের মধ্যে আওয়ামীলীগ দল বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করছে। এবং দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিএনপি দল। এবং এই দলের নিজ নেতাকর্মীদের মধ্যেই বর্তমান সময়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সম্প্রতি এই দল প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন আওয়ামীলীগ দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করার জন্য সরকারের ওপর দোষারোপের রাজনীতি করছে। তাদের এই পথ পরিহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে বিনা উসকানিতে পু/লি/শ গুলিবর্ষণ করেছে বলে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সারা দেশে যেখানেই সমাবেশ করে, সেখানেই তারা নিজেরা মা/রা/মা/রি করে। হবিগঞ্জের আগে সিলেটে তাদের বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাকা সমাবেশে চেয়ারে বসা নিয়ে তারা যেভাবে মা/রা/মা/রি করেছে, তাতে ভয়ে আশপাশে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে জনগণ আতঙ্কিত। একই ঘটনা হবিগঞ্জেও। সেখানেও তাদের বিশৃঙ্খলা ও মারামারি ঠেকাতে পু/লি/শ/কে ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল, এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেদের মা/রা/মা/রির বিষয় নিয়ে কোনো কিছুই বলছেন না। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সভায় বিভিন্ন সময়ে যে হট্টগোল হয়, তা ঠেকানোর জন্য মির্জা ফখরুল সাহেবকে চিৎকার করতে হয়। একটি বড় রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের সামনে যেভাবে বিশৃঙ্খলা হয়, সেটা তাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আমি মির্জা সাহেবকে অনুরোধ জানাব, নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারের ওপর দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করুন।’
বেশ কিছু দিন আগে এক সভায় বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সদ্য বরখাস্ত তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসনকে ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ছিল এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই মন্তব্যকে ঘিরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে তর্ক-বির্তকে জড়িয়ে পড়ে। অবশ্যে এই মন্তব্যে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছিল মির্জা ফখরুল।