রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিরাপদ সড়ক চাওয়ার দাবি তুলে নিজেদের লা’/শ সাজিয়ে একটি মিছিল বের করে যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজাকার হিসেবে মন্তব্য এবং রাজাকার উল্লেখ করা একটি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মী যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে বচসা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটার কারনে আলোচনায় এসেছে বিষয়টি।
ঐ সময় প্রধানমন্ত্রীকে এমন ধরনের কটুক্তি করার কারনে মহব্বত হোসেন মিলন যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশের একটি গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে লাশের মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
“এ সময় রাজাকার শেখ হাসিনা সরকার “এই স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মোখলেছুর রহমানের চোখে পড়লে তিনি ওই শিক্ষার্থীর হাত থেকে এসে প্ল্যাকার্ডটি কে’ড়ে নেয়। এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের রুমে নিয়ে যায়।
ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক জিন্নাতারা সুমু গনমাধ্যমকে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু আজ আমাদের সহযো’দ্ধা মিলনকে অন্যায়ভাবে প্রক্টরের রুমে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে ছেড়ে দেওয়া না হলে আ’ন্দো’লন আরও কঠোর হবে।
ড. মোখলেসুর রহমান যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবি তুলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মি’ছিল করেছে ছাত্র ফেডারেশনের যে সকল নেতাকর্মী রয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করা এবং রাজাকার আখ্যা দিয়ে একটি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শিত করেছে। এটা কোনোভাবে কাম্য নয় এবং মেনে নেওয়াও যায় না। এই কারনে ওই ছাত্রের নিকট হতে প্ল্যাকার্ড ছি’নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রক্টর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভিসি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপে যাওয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেবেন।