ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়কার জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নায়ক মান্নার প্রয়ানের ১৩ বছর পার হওয়ার পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার শেষ চলচ্চিত্র ‘জীবন যন্ত্রণা’। মান্না ২০০৮ সালে ছবিটির শুটিং সমাপ্ত করতে সক্ষম হলেও ডাবিং শেষ করতে পারেননি তিনি। এই জানপ্রিয় নায়ক ঐ একই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।
সূত্র জানায়, মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটি আসছে ১৬ ডিসেম্বর কিংবা পরের বছর ২৬ মার্চ সিনেমা হলে মুক্তি পেতে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন ১৩ বছরের মতো একটি লম্বা সময় ধরে এই ছবিটি আটকে ছিল এবং কেন আত দীর্ঘ সময় পর মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি? সেন্সর বোর্ডে ছবিটি আটকে যাওয়ার কী দোষ ছিল? জবাবে প্রযোজক ও অন্যতম পরিচালক খোরশেদ আলম খসরু সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছবিটির নাম যেটা দেওয়া হয়েছিল সেটা নিয়ে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ছবির নাম ছিল ‘লীলা মন্থন’। ওই নামে ২০১১ সালে সেন্সরে জমা দিই। কিন্তু নামটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের আপত্তি ছিল। নানা জটিলতার কারণে এরপর ছবিটি নিয়ে আর এগোইনি। দীর্ঘ সময় পর ছবির নাম পরিবর্তন করে ‘জীবন যন্ত্রণা’ নামে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে সেন্সরে জমা দিয়েছিলাম।’
শুধু কি এই নামের জন্য এতোটা বছর ছবিটি শেকলে ব’/ন্দী ছিল? জানা গেছে, ছবির শুটিংয়ের কারিগরি সহায়তা বাবদ প্রযোজকের কাছে বিএফডিসির প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পাওনা ছিল। সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করায় বিএফডিসি ছাড়পত্র দেয়নি।
বিষয়টি স্বীকার করার পরে খ্যাতিমান প্রযোজক খসরু বলেন, “সিনেমাটি নিয়ে আমাদের তেমন কোনো ধরনের তাড়া ছিল না। নানা সমস্যার কারণে বিএফডিসির বকেয়া পরিশোধ করতে দেরি হয়ে গেছে। টাকা পরিশোধ করার পর গেল মাসে অর্থাৎ অক্টোবরের দিকে ছবিটি সেন্সর করা হয়। এখন ছবিটি মুক্তি দেওয়ার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যেহেতু এটা একটা মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ছবি, তাই মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ দিনটিকে মাথায় রেখেই ছবিটি মুক্তি দিতে চাই। সেটি ১৬ ডিসেম্বর বা ২৬শে মার্চ হতে পারে।’
তারকাসমৃদ্ধ এই সিনেমাটি একদল নিষিদ্ধ পল্লীর কর্মীদের গল্প নিয়ে নির্মিত, যারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ করেছিলেন। মান্নার সাথে এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী এবং নন্দিত অভিনেত্রী পপি। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর।