ভারতের ( India ) উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত দিনাজপুরের ইসলামপুর গ্রামের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কনিকা( Konika ) মহন্ত নামের এক বৃদ্ধার কুড়ে ঘর থেকে তিন ট্রাঙ্ক টাকা পাওয়ার একটি বিষয় আলোচনায় এসেছে। তিনি পেশায় ছিলেন একজন ভিক্ষুক। তার প্রয়ানের পর ঐ ভিক্ষুকের কুঁড়েঘর দেখে প্রতিবেশীদের সবার চোখ যেন কপালে উঠে যাওয়ার মত। গত( Past ) পাঁচ দিন আগে কণিকা দেবীর প্রয়ান হওয়ার পরেই এই অবাক করা ঘটনা সবার নজরে আসে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ( Islampur North Dinajpur ) ঐ ভিক্ষুকের কুঁড়েঘর থেকে ট্রাঙ্ক-ভর্তি নোট এবং খুচরা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই টাকার পরিমাণ এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তিনটি ট্রাণ্কে কয়েক লাখ টাকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, ইসলামপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোকনাথ কলোনির বাসিন্দা কনিকা ( Konika ) মোহন্ত একজন ভিক্ষুক ছিলেন।
মানুষের সহযোগিতায় তিনি সংসার চালাতেন। পাঁচ দিন আগে কনিকা ( Konika ) প্রয়াত হন। এ সময় তার বাড়ি থেকে তিনটি ট্রাঙ্ক বোঝাই টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আজ মঙ্গলবার( Today Tuesday ) (১ মার্চ( March )) থেকে প্রতিবেশীদের সামনে টাকা গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে তা কয়েক লাখ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কণিকার দাদা বাবলু থাকেন ইসলামপুরের ( Islampur ) অন্যত্র।
কণিকার রেখে যাওয়া সম্পদের খবর পেয়ে বাবলুও ( Bablu ) তার বাড়িতে আসে। কণিকার দাদা বাবলু বলেন, আমার বোন ভিক্ষা করে টাকা রোজগার করত। বাইরে খেতেন। আমি নিজেও গরীব। এমনকি অসুস্থ। এই টাকা আমি নিজে নেব না। এর কিছু টাকা আমি ব্যাংকে রাখব। আমি বাড়িটি সংস্কার করব। আর এটা দিয়েই মায়ের চিকিৎসা করব।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের ইসলামপুরে ভিখারীর কুড়ে ঘড়র থেকে তিন ট্রাঙ্ক টাকা পাওয়ার বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃৃষ্টি করেছে উৎসুক প্রতিবেশীদের ভিতরে। ঐ আলোচিত ভিক্ষুক মহিলার স্বজন এবং প্রতিবেশীরা সবাই সম্মিলিতভাবে তার বাড়ি থেকে পাওয়া সেই তিন ট্রাঙ্ক টাকা এবং খুচরা পয়সা গোনার কাজ করছেন। তবে টাকার পরিমান এখনো জানা যায়নি কিন্তু ধারনা করা হচ্ছে প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি হতে পারে।