বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের জনপ্রিয় নাম ছিল মোশারফ রুবেল। দলের হয়ে একটা সময়ে খেলেছেন তিনি। তবে টানা তিন বছর ব্রেইন টিউমার ও ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পৃথিবী ছেড়ে চলে যান জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার।
মাত্র ৪০ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হল এই টাইগার ক্রিকেটারকে। ৭ অক্টোবর জন্ম নেওয়া রুবেল আজ বেঁচে থাকলে ৪১ বছর বয়সে পৌঁছে যেতেন। প্রয়াত স্বামীর জন্মদিনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রুপা চৈতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি।
যেখানে তিনি বলেন, জীবিত থাকতেই ক্রিকেটারের জন্মদিনে রুবেলের কাছে পৌঁছে যেতেন তিনি। এবার আর সুযোগ নেই। আর তাই এবার রুবেলের কবরের সামনে হাজির হলেন তিনি। এ ছাড়াও স্বামীর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছেও দোয়া চেয়েছেন চৈতি।
রুবেলের কবরের ছবি দিয়ে তার ফেসবুক বিবৃতিতে চৈতি লিখেছেন, তোমার জন্মদিনে তুমি যেখানেই থাকো আমি পৌঁছেছি। কোনোদিন ভাবিনি এভাবেও দেখা করতে হবে। ভালো থেকো রুবেল। শুভ জন্মদিন রুশদানের বাবা। আমরা তোমাকে মিস করছি।
এর আগে রুবেলের জন্মদিনে আরেকটি পোস্টে চৈতিও লিখেছেন দুই জনের অতীতের কিছু স্মৃতি, আমার খুব অবাক লাগে, একটা মানুষ এত কম সময় পেল! এত যাওয়ার তাড়া ছিল তোমার রুবেল!!
আজকের দিনে কত কত স্মৃতি যে ভেসে আসছে। আমি রুবেলের প্রত্যেকটা জন্মদিনে রুবেলকে সারপ্রাইজ দিতাম। আমার বিয়ের পর থেকে শুরু করে প্রত্যেক বছর।
এই নিয়ে মানুষের কটু কথাও কম শুনিনি। এত ঢংয়ের কি আছে? এত কিছুর মানে কী? এখন মনে হয়, এগুলো করেই আমি রুবেলকে অসম্ভব খুশি করতে পারতাম। রুবেল সব সময় বলত, তুমি আসার আগে আমি যে এত স্পেশাল এটাই জানতাম না।
এই নিয়ে মানুষের কটু কথাও কম শুনিনি। এত ঢংয়ের কি আছে? এত কিছুর মানে কী? এখন মনে হয়, এগুলো করেই আমি রুবেলকে অসম্ভব খুশি করতে পারতাম। রুবেল সব সময় বলত, তুমি আসার আগে আমি যে এত স্পেশাল এটাই জানতাম না।
রুবেল তুমি ভালো থেকো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তোমাকে জান্নাতের সুউচ্চ স্থান নসিব করুন। আজ তোমার জন্মদিনে আমি এটাই চাই।
প্রসঙ্গত, এ দিকে মোশারফ রুবেলকে হারিয়ে এখন সন্তান নিয়ে একই বসবাস করছেন চৈতি। তাদের জীবন চলছে অনেকটা থেমে থেমে। তার পরেও সন্তানকে নিয়ে নাউন আশায় দিন পার করছেন চৈতি।