‘আশীর্বাদ’ ছবির শুটিং চলছিল। সেই সময় এক ভিন্ন ধরনের কান্ড ঘটিয়ে বসলেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। এক প্রোডাকশন বয়কে নিয়ে তিনি আপত্তি জানান। তার কথায় সিনেমার প্রযোজক ঐ প্রোডাকশন বয়কে শ্যুটিং সেট থেকে বের করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। মাহিয়া মাহি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই প্রোডাকশন বয়কে বের করে না দিলে তিনি শুটিং বন্ধ করে দেবেন।
প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস বলেন, আপনারা সবাই জানেন রোগটির প্রদূর্ভাব যে সময় বেড়ে যায় সেই সময় শুটিং করা কতটা কঠিন ছিল। তখন অনেক কলাকুশলীর অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল শোচনীয়। আমি তখন শুটিং করছিলাম। আমার সহকারী হিসাবে আমার একটি ছেলে ছিল। কিন্তু মাহির কারণে সেই ছেলেকে শুটিং থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। পরে ছেলেটি কাঁদতে কাঁদতে সেট ছেড়ে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, সিনেমাটির শুটিং শেষ করা জরুরি ছিল; এ কারণে যারা সেটে উল্টাপাল্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। বরং সিনেমার স্বার্থে সবকিছু মেনে নিয়েছি। আমি কারো কাছে অভিযোগ করিনি; এখনো অভিযোগ করছি না। আপনারা প্রসংগটি সামনে এনেছেন বলেই এই কথাগুলো বলছি।
বিষয়টি নিয়ে পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, তার সিনেমায় নায়িকা এমন করলে তাকে ঘাড় ধরে বের করে দিতেন।
বললেন, প্রোডাকশন বয়কে সরানো না হলে সে শট দেবে না, এতই সোজা! আমি মনে করি, প্রোডাকশন বয় আর নায়িকা তার অবস্থানকে সমান মনে করে।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘আশীর্বাদ’-এ জুটি বেঁধেছেন মাহিয়া মাহি ও জিয়াউল রোশান। এটি পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। সিনেমাটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য লিখেছেন জেনিফার ফেরদৌস।
ছবিটি মুক্তি পাবে ১৯ আগস্ট। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নির্মাতা। এ সময় প্রযোজক জেনিফার, পরিচালক মানিক, ঝন্টুসহ শিল্পীরা উপস্থিত থাকলেও মাহি-রোশান উপস্থিত ছিলেন না।
তবে ছবিটির নির্মাতা এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করায় অনেকে মাহিয়া মাহিকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তিনি একজন নামকরা চিত্রনায়িকা হয়ে প্রোডাকশন বয়ের সাথে এমন দুর্ব্যবহার করেছেন যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি যেটা করেছেন সেটা পুরোপুরি অমানবিক এধরনের হীনমানসিকতা দেখানা তার উচিত হয়নি।