কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় আনিসুর রহমানের (গাজী আনিস) শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সোমবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক এসএম আইয়ুব হোসেন দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনা সময়ে প্রেসক্লাব চত্বরে আগুন দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রকাশ্যে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন কবি, ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় আনিসুর রহমান গাজী (৫০) প্রয়াত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল সোয়া ৬টায় শেখ হাসিনার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় প্রয়ান হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক মো. সামন্ত লাল সেন। জানা গেছে, হ্যানোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দাবিতে দুই মাস আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন আনিস। কিন্তু টাকা না পেয়ে হঠাৎ প্রেসক্লাবের সামনে এসে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। স্বজনরা জানান, আনিস কুষ্টিয়ার পান্টি এলাকার প্রয়াত ইব্রাহিম হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। ছয় ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
গাজী আনিসের চাচাতো ভাই কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফর জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ নেই। তার অন্য পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে কেবল একজন গ্রামে থাকেন। বাকিরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ ও ব্যবসা করেন। আনিস মাঝে মাঝে গাড়িতে করে গ্রামে আসত। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী বলেন, গাজী আনিসুর রহমান ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। আমি ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। এর আগে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন আনিস। পরে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি পেয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেন। দুই বছরের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক ছেড়ে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হন। কিন্তু প্রত্যাশিত অবস্থান না পেয়ে আবার ব্যবসায় মনোযোগ দেন। এরই মধ্যে এই দুঃখজনক খবরটি শুনলাম।
উল্লেখ্য, এসএম আইয়ুব হোসেন বলেন, গাজী আনিসের শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক। আসলে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কী কারণে তিনি আত্মহননের চেষ্টা করেছেন তা আমরা এখনও জানি না।