পৃথিবীতে ভালোবাসার টানে মানুষ পরিবার স্বজনকে ফেলে ভালোবাসার মানুষের কাছে ছুটে যায়। সংসার সমাজ ধর্ম পর্যন্ত সে রাজি হয় তার প্রিয় মানুষটিকে পেতে। তেমন ঘটনায় এবার ঘটল ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাসের জীবনে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে সুদূর আমেরিকায় ছুটে গেলেন বাংলাদেশের মিঠুন বিশ্বাস।
প্রেমের কোনও দেশ-কাল-পাত্র নেই। এই প্রেমের টানেই সমাজ-সংসারের সব প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে প্রেমিক-প্রেমিকার মিলনের গল্প নতুন নয় ইতিহাসে। তেমনই এক নজির স্থাপন করলেন ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাস আর মার্কিন তরুণী এলিজাবেথ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তারা পরিচিত। পরিচিতি থেকে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা। এরপর ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাস এলিজাবেথ এসলিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। দীর্ঘ ৫ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর অবশেষে গত মাসে দিশটির নাগরিকত্ব পান মিঠুন।
এর আগে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন এলিজাবেথ। তারপর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এলিজাবেথ। পরে মিঠুনকেও নেন।
মিঠুন বিশ্বাস ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে। এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের রয় এসলিকের মেয়ে।
মিঠুন বিশ্বাসের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি ফেসবুকে মিঠুনের সঙ্গে এলিজাবেথ এসলিকের পরিচয় হয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে দুজনের সম্পর্ক চলে। ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি মিঠুনের টানে বাংলাদেশে আসেন এলিজাবেথ। ৪ জানুয়ারি তাদের বাগদান হয়। ৯ জানুয়ারি খুলনার শালক এজি চার্চে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর এলিজাবেথ কিছুদিন বাংলাদেশে থেকে নিজ দেশে ফিরে যান। এরপর ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিঠুনের কাছে ছুটে আসেন। সেবারও কিছুদিন থাকার পর চলে যান তিনি। তিন মাসের মাথায় মিঠুনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান। মিঠুন ও এলিজাবেথের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন চলছে।
বর্তমানে, এলিজাবেথ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফোর্ড গাড়ির ডিলারশিপে একজন হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। মিঠুন যুক্তরাষ্ট্রের জেনেনটেক আইটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।
এ প্রসঙ্গে মিঠুন বিশ্বাস বলেন, ‘পাঁচ বছর বসবাসের পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমাদের পরিবারে এখনো নতুন কোনো অতিথি আসেনি। আগামী বছর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এখানে খুব ভালো আছি। দুজনই বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় বসবাস করছি। আপাতত দেশে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, ভালোবাসার টানে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ওই তরুণী ছুটে এসে বাংলাদেশের যুবকে বিয়ে করেছিলেন। বর্তমানে এই দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে সুখে-শান্তি বলে তারা জানিয়েছেন।