সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নানা প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটচ্ছে তরুণ-তরুণীরা। যার কারনে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটচ্ছে। পরে ভালোবাসার মানুষকে পেতে দুর্ঘটনা ঘটায় প্রেমের সম্পর্কের জড়ানো ওই তরুণ-তরুণী। বিষয়গুলো নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভুক্তভোগী পরিবার। শেষ পর্যন্ত আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে তাদের পরিবার। তেমনি ঘটনা এবার ঘটলো নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বিজিবি সদস্য শামীম মোল্লার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল নিয়ে অনশন করছেন এক তরুণী।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মির্জাপুর কলেজ পাড়ায় প্রেমিক শামীমের ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন তিনি। তবে মেয়েটি আশার খবর পেয়ে শামিমের বাবা মো. খায়রুল মোল্লা ও তার মা বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত শামীম মোল্লা উপজেলার কান্দুরী গ্রামের খায়রুল মোল্লার ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর ৪৭ ব্যাটালিয়নে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামীম মোল্লা প্রায় তিন বছর আগে বিজিবিতে যোগ দেন। চাকরি পাওয়ার আগে আট লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করে খবরটি গোপন রাখেন। কিন্তু চাকরি পেয়ে স্ত্রীকে তালাক দেন শামীম।
ভুক্তভোগী প্রেমিকা জানিয়েছেন, টিক টকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়েছিল। তারপর ফেসবুকে ও ফোনে আলাপ হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেম শুরু হয়। পরে শামীম মোল্লা ছুটিতে এসে খুলনার সোনাডাঙ্গায় বন্ধু সোহেলের বাড়িতে দেখা করেন। এভাবেই ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। শামীমকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তাকে এড়িয়ে চলে। একই সঙ্গে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
অনশন বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। শামিম বিয়ে না করলে, আমি বিষ খেয়ে মা/রা যাবো।
অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য শামীম মোল্লা ফোনে দেশের একটি অন্যতম গণমাধ্যকে বলেন, মালার (ছন্দনাম) সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমি তাকে বিয়ে করতে পারব না কারণ সে আমার থেকে বড়।