ধনী ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একটা পর্যায়ে ‘দৈহিক মিলনে লিপ্ত হতেন নাজনীন খান প্রিয়া এক তরুণী। শুধু তাই নয়, গোপনে এই ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।
ইতিমধ্যে এই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদর থানা পুলিশ ও সাইবার টিম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নগরীর হোটেল বাজার এলাকার ভাড়া বাসা থেকে প্রিয়া খানকে আটক করে।
এর আগে মঙ্গলবার মনোয়ার হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। নাজনীন খান প্রিয়া চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দুলালনগর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমের মামলা দায়েরের পর শহরে তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। নাজনীন খানের প্রিয়ার সাথে ধনীদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কের চিত্রায়ন করা হয়েছিল। পরে ওই ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে চাঁদাবাজি শুরু করেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নাজনীন খান প্রিয়ার দলে ৯ জন সুন্দরী রয়েছেন। বিভিন্ন সময় তারা পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। নাজনীন খান প্রিয়া কয়েক বছর আগে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মৌকের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের ফেসবুক পেজের হোস্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শহরে আসছিলেন।
এদিকে এ বিষয়ে ওসি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রিয়া নামের ওই তরুণীকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।