বর্তমান সময়ে একজন যুবক যুবতী একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয় যে ঘটনা খুবই সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যদি প্রেম ভালবাসায় একতরফা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কোন কোন সময় ঘটে যেতে পারে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। প্রেমের জেরে মানুষ নানা ধরনের কান্ড ঘটিয়ে থাকে তার দৃষ্টান্ত আজকের এই ঘটনা।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিলের পর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় কনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কনের দাদা-দাদি ও দুই মামাসহ আটজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে চারজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কনের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। শুক্রবার উপজেলার সরাই ইউনিয়নের মাদামুদন গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মেম্বার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এরশাদ মিয়া প্রায়ই হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার মাদমুদন বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (কনে) যৌ/ ন হয়রানি করতো। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেড় মাস আগে একই উপজেলার বেইলি ব্রিজ পূর্ব চাঁদঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেন পরিবার। বিবাহোত্তর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এরশাদ ও তার সহযোগীরা এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে। পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপর হামলা হয়। হামলায় কনের দাদা, দুই মামা ও দাদিসহ আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কনের দাদা জানান, প্রভাবশালী রাজ্জাক মেম্বারের ছেলে এরশাদ তার নাতনিকে বিয়ে করতে না পেরে তাকে অপহরণ করতে বাড়িতে আসে। তারা থামলে আক্রমণ করে। বিষয়টি থানায় জানিয়েছি; কিন্তু পুলিশ এসে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চলে যায়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার পর ভয়ে অনুষ্ঠানে আসেনি বর পক্ষ।
অভিযুক্ত এরশাদ মিয়া দাবি করেন, মেয়েটির পরিবার তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের পাশের লোকজনও আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি উভয় পক্ষ মৌখিকভাবে জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা সম্পর্কে খুবই নিন্দনীয় মন্তব্য করেছে এলাকাবাসী। তারা জানিয়েছে , এলাকায় ক্ষমতাসীন হয় ওই যুবক তাদের ঘরে হামলা চালিয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন এমন একটি ঘটনা আসলেই অপ্রত্যাশিত। যেহেতু কোনের পূর্বেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, সে ক্ষেত্রে এমন ঘটনাকে কেউই মেনে নিতে পারছে না।