নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মাসদাইরে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীর ঠোঁট ও গাল কামড়ে র’ক্তা/ক্ত করেছে স্বামী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মিলন ঝালকাঠি সদর থানার খাগতিয়া এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে ও ফতুল্লার মাসদাইর পাকাপুলের বাসিন্দা। বুধবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফারজিনা আক্তার তার স্বামী মিলনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রেমের টানে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল মিলনকে বিয়ে করেন ফারজিনা। তিনি মাসদাইয়ের ফারিয়া গার্মেন্টসে চাকরি করেন। কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে তার স্বামী তাকে সন্দেহ করতো, গা/লাগা’লি করত এবং মা”রধর করত। প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে কাজে যান তিনি। ছুটি থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে দুপুর সোয়া ১২টা বেজে যায়। এ কারণে প্রথমে তাকে বকাঝকা করেন স্বামী মিলন। একপর্যায়ে তার ঠোঁট ও ডান গালে মা”রধর ও কাম”ড় দিয়ে মাংস তুলে নেয়। এ সময় ফারজিনা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
ফারজিনা আক্তার জানান, মা”রধরের সময় মিলন তার বেতনের ১৫ হাজার টাকা ও গলার স্বর্ণের চেইন ছি’/নিয়ে নেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হাফিজুর বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন মাসদাইর নামক এলাকায় দাম্পত্য বিবাদের কারণে স্ত্রীর ঠোঁট এবং গালে কামড় বসিয়ে গুরুতরভাবে রক্তাক্ত করে স্বামী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করে স্ত্রী। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হাফিজুর রহমান যিনি ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি বলেন, এই ঘটনার পর অভিযুক্তের স্ত্রী মামলা দায়ের করেছেন। স্ত্রীর অভিযোগে মিলনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ পাঠানো হয়। তিনি এখন থানা হেফাজতে রয়েছেন। পরবর্তী সকল ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।