নারীর প্রতি যুবকদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক নারীরা যুবকদের সাথে বিভিন্ন রকমের অনাকাঙ্খিত কাণ্ড ঘটিয়ে থাকে। তারই একটি বাস্তব প্রমাণ আজকের এই ঘটনা। ঘটনার সূত্রে জানা যায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন যুবকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতো এই দুই তরুণী। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বয়ং ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই।
নোয়াখালীর মাইজদীতে দুই নারী প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করে বিত্তবানদের ফাঁসিয়ে চাঁদাবাজি করত বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে প/ র্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠায়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে মাইজদী হাউজিং এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ওইসব নারী সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের কৌশল অবলম্বন করে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হন। একপর্যায়ে তাকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অ/ শ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ভুক্তভোগীদের একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুই নারীকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে অ/ শ্লীল ভিডিওসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং জব্দকৃত আলামত থেকে পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। তবে তাদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ । এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা । তাদের যোগাযোগ মাধ্যম এবং কল লিস্ট চেক করে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করতেছে এই ঘটনায় এই পর্যন্ত কত জনের সাথে তারা এমন প্রতারণা করেছে।