প্রেমের টানে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছুটে যাচ্ছেন এমন খবর ইদানিং প্রায়শই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন গনমাধ্যমে। গত ২৮ জুলাই আবারো প্রেমের সুদুর প্যারিস থেকে ছুটে এসেছেন এক প্রবাসী তরুনী। তার প্রেমের টানে এতদুরের পথ পারি দেওয়া রীতিমতো তার প্রেমিকসহ এলাকার প্রতক্ষ্যদর্শী সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। এই অবাক করা প্রেমিক জুটিকে দেখতে এলাকাবাসী ভির জমিয়েছেন তাদের বাড়িতে।
বিশ্বব্যাপী ছরিয়ে পরা মহামারির মধ্যে অনলাইন প্লাটফর্মে পরিচয় থেকে বন্ধুত্বের সূত্রপাত। ধীরে ধীরে সেটিই গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। আর এই প্রেমের টানেই এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী এক যুবকের কাছে ছুটে এসেছেন ফ্রান্সের এক নারী। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এমন তথ্যই জানিয়েছে আনন্দবাজারসহ কলকাতার একাধিক সংবাদমাধ্যম। প্রেমের টানে ভারতে ছুটে আসা ফ্রান্সের ওই নারীর নাম প্যাট্রিসিয়া ব্যারোটা। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা কুন্তল ভট্টাচার্যের কাছে এসেছেন তিনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বিয়ে হয়নি তাদের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পেশাগত কারণে আগে রাজধানী দিল্লিতে থাকতেন পাণ্ডুয়ার সারদা পল্লির বাসিন্দা কুন্তল ভট্টাচার্য। সংক্রামনের মহামারি কারণে লকডাউনের সময় পাণ্ডুয়ায় চলে আসেন তিনি। তবে দিল্লিতে থাকার সময়ই কুন্তলের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় ফরাসি নারী প্যাট্রিসিয়ার। এরপর নেটমাধ্যমেই কথা বলা, ভিডিও কলিং থেকে সেই সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়।
সম্প্রতি নয়াদিল্লি পৌঁছে কুন্তলকে চমকে দেন প্যাট্রিসিয়া। কুন্তলের কথায়, (প্যাট্রিসিয়া) আমাকে ফোন করে দিল্লিতে আসার কথা জানায়। আমিও বললাম, পরের ফ্লাইটে করে কলকাতায় চলে এসো। সেই মতোই দিল্লি থেকে প্লেনে করে কলকাতা পৌঁছান প্যাট্রিসিয়া। কুন্তলও সময় মতো কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে বান্ধবীকে সঙ্গে করে পাণ্ডুয়া নিয়ে আসেন। কুন্তল জানান, আপাতত পাণ্ডুয়ায় তার পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন প্যাট্রিসিয়া। এখনও সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে হয়নি তাদের। তবে লিভ-ইন করছেন তারা। তার দাবি, সামাজিক ভাবে বিয়ে না হলেও মনে মনে বিয়ে হয়ে গেছে আমাদের। পাণ্ডুয়ার এই যুবক জানান, তাকে রীতিমত চমকে গিয়ে গত ১৩ জুলাই দিল্লি পৌঁছান প্যাট্রিসিয়া। বিমানবন্দর থেকে জানান, ভারতে এসেছেন। দিল্লি থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে হাওড়া, সেখান থেকে বাসে পাণ্ডুয়া। এক নতুন জীবন প্যাট্রিসিয়ার। মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না? কুন্তলের বক্তব্য, মনের মিল বলেই হয়তো সবটা মসৃণ। অপরদিকে বিদেশি বউকে মেনে নিয়েছেন পাণ্ডুয়ার ভট্টাচার্য পরিবার। সেখানেই থাকছেন প্যাট্রিসিয়া।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ার পান্ডুয়া এবং ফ্রান্সের তরুনী প্যাট্রিসিয়ার প্রেমের গল্প শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা মহামারি প্রকোপে যখন লকডাউন ছিল ঠিক সেই মুহুর্তে। সামাজিক মাধ্যমে একটি অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের প্রথন পরিচয় হয়ে। সেই পরিচয়ের মাধ্যমেই তাদের ভিতরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই প্রেমের সম্পর্ককে আরো মজবুত করতে সুদুর ফ্রান্স থেকে ভারতে ছুটে আসেন ফ্রান্সিস তরুনী প্যাট্রিসিয়া। তাদের এই প্রেমের পুরো জার্নির কথা এভাবেই জানিয়েছেন কুন্তল।