সম্প্রতি এক তরুণী ভারত থেকে তার প্রেমিকের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেক উতস্যুক লোকেরা প্রেমিক তন্ময়ের বাড়িতে ওই তরুণীকে দেখতে ছুটে আসে। তন্ময় ও ওই তরুণীকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যদা দিতে প্রস্তুত। রাজিও হয়েছে তন্ময়ের পরিবার। এক পর্যয়ে বিয়ের আয়োজন করে তারা। তবে অন্তিম পর্যয়ে ঘটে যায় অনাকাঙ্খিত ঘাটনা।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পয়াইল গ্রামে প্রেমের কারণে ভারত থেকে পূজা বিশ্বাস (১৬) নামে এক তরুণীকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ‘উদ্ধার’ করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত তরুণীকে শনিবার ফরিদপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। বিকেলে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) সার্কেল সুমন কর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মেয়েটি কলকাতার নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার ফুলিয়াপাড়া এলাকার সুনীল দাসের মেয়ে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌঁছান।
জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবাহা গ্রামের তন্ময় রাজবংশী (২১) ওই তরুণীর সঙ্গে ফে/ সবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাজবংশী ওই কিশোরীকে বাওয়ালমারীতে নিয়ে আসে। বোয়ালমারী আসার পর তাকে পোয়াইল গ্রামে তন্ময়ের ভগ্নিপতি গোপাল রাজবংশীর বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তন্ময়কে আটক করে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব জানান, মেয়েটি অল্পবয়সী। তাছাড়া মেয়েটির কাছে কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা পাওয়া যায়নি। তন্ময় রাজবংশীকে এ দেশে আনার কারণ দেখিয়ে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে মেয়েটিকে আনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী ভারতীয় পরিচয় বের করে তার পরিবারের সাথ যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ। আপাত্ত তিনি পুলিশের আওতায় আছে। এছাড়া ওই তরুণী পাসপোর্ট ছাড়া কিভাবে বাংলাদেশে আসলেন সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।