প্রেম মানে না কোনো বাঁধা, প্রেম মানে না সীমানা। প্রেমের জন্যে প্রেমিক-প্রেমিকারা কত কিছুই না করে থাকে, পার হতে পারে সাত সমুদ্র তেরো নদী। প্রেমের কারনে দেশান্তর হচ্ছে অনেক যুবক-যুবতী। কারণ তারা হতে চান এ্তে হতে। কোন বাধা তারা মানে না সীমানা তো দূরে থাক। এবার প্রেমের টানে টাঙ্গাইলে এলেন ভারতীয় তরুণী।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় এসেছেন ঐু ভারতীয় তরুণী। পরে স্থানীয় এক পীরের নাতির সাথে তার বিয়ে হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই তরুণীকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা। বিউটি খাতুন ভারতের কলকাতার বর্ধমানের শেখ হানিফের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে কাতার প্রবাসী মামুন দেশে ফেরেন। কিছুদিন পর মামুন এক আত্মীয়কে নিয়ে ভারতে যায়। সেখান থেকে গত শুক্রবার ওই তরুণীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। পরে গত শনিবার কোর্ট ম্যারেজ ও স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে মামুনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এদিকে ভারতীয় তরুণীর আগমনের খবর পেয়ে এলাকাবাসী দেখতে গেলে তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়। মামুন ও তার স্বজনরা ওই বাসায় গেলে গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য না দিয়ে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য পরিতোষ চন্দ্র পাল বলেন, ফে”সবুকের মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে ভারতীয় তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মামুন প্রায় এক মাস আগে প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন। কয়েকদিন পর মামুন ভারতে গিয়ে মেয়ের পরিবারের সম্মতিতে গত শুক্রবার তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন কাজী তাদের বিয়ে সম্পন্ন করেন। মামুনের দাদা পীর হওয়ায় তারা বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা করতে চান না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাঁচ দিন আগে মামুন মেয়েটিকে সীমান্ত থেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। তবে মামুনের স্বজনরা এ বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন। মূলত কাতারে অবস্থানকালে ফে”সবুকে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মামুন। বিয়ের সময় মেয়েটির পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
মোল্লা আজিজুর রহমান যিনি কালিহাতী থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি এ বিষয়ে জানান, ওই তরুণী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তার বৈধ কাগজপত্র ছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ঐ বাড়িতে যাওয়া হয়। তার কাছে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে সকল ধরনের তথ্য নিয়েছেন। মামুন কাতারে থাকাকালীন বিউটি খাতুন নামের ওই ভারতীয় তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি দেশে এসে ভারতে যান এবং ওই তরুণীকে দেশে বৈধ ভাবে এনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।