প্রেমের টানে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে আসা নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে প্রিয় মানুষটিকে পেতে ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি ছাড়তে পিছু হাটে না তারা। এবার ভালোবাসার টানে বাংলাদেশের যুবক ওমর ফারুক পেতে মালয়েশিয়ার তরুণী নূর আয়েশা চাঁদপুর এসেছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অবশেষে বিয়ের সম্পর্কে পরিণতি পেল তাদের ভালোবাসা।
প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান তরুণী নূর আয়েশা ছুটে এসেছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকায় ধর্মীয় রীতি মেনে বাংলাদেশি যুবক ওমর ফারুক ও মালয়েশিয়ান তরুণী নূর আয়েশার সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হয়।
এর আগে বুধবার মা, বড় ভাই ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। ওমর ফারুক চাঁদপুর সদর উপজেলার চৌধুরী বাড়ি বড় শাহতলীর মৃ/ত কামালের ছেলে। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন।
এদিকে মালয়েশিয়ার তরুণী নূর আয়েশা সে দেশের পেনাং শহরের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন এবং পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করছেন।
জানা যায়, ওমর ফারুক ৭ বছর আগে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়া যান। সেখানে ফেসবুকে নূর আয়েশার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে দুজনে একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ওমর ফারুক ৪ মাস আগে বাংলাদেশে চলে আসেন। ৪ মাস পর ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন নূর আয়েশা।
বৃহস্পতিবার রাতে নূর আয়েশা তার মা, বড় ভাই ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীর উপস্থিতিতে এবং ওমর ফারুক তার অভিভাবকদের সম্মতিতে ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
ওমর ফারুক বলেন, সত্যিকারের ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না। একই কথা বলেন নূর আয়েশা। তিনি বলেন, দেশে (মালয়েশিয়া) ফিরে দুজনেই নতুন ক্যারিয়ার শুরু করতে চান।
ভিনদেশি বউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলে ওমর ফারুকের মা জানান, ইংরেজিতে পুত্রবধূ কিছু কিছু বাংলা শিখার চেষ্টা করছে। পুত্রবধূর সঙ্গে তার মা, বড় ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী বাংলাদেশে এসেছে।
নূর আয়েশার মা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন, বিমানবন্দর পুলিশ, বাংলাদেশের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেন, বাংলাদেশ অনেক সুন্দর দেশ। এদেশের মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের ফুচকা খুব মজাদার। মালয়েশিয়াতে একটি ফুচকার ব্যবসা চালু করবো। যা খেয়ে মানুষ আনন্দিত হবে।
প্রসঙ্গত, অবশেষে ভালোবাসার মানুষ পেয়ে অনেক আনন্দ প্রকাশ করেন ওই তরুণী এবং নতুন করে তাদের জীবন শুরু করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বিদেশি পূত্রবসূ পেয়ে ওমর ফারুকের পরিবার অনেক খুশি বলে পরিবার পক্ষ থেকে জানানো হয়।