প্রেম ভালোবাসার জেরে অনেক তরুণ-তরুণী নিজের দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশের ছুটে এসেছেন। ভালোবাসার টানে ধর্মান্তরিত হয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সুদূর ভারত থেকে নিজের প্রেমকে সম্পর্কে রূপ দিতে ছুটে এসেছেন এক অল্প বয়সী তরুণী।
বহ্নিশিখা ঘোষ নামের এক নারী ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় আসেন। ফেসবুকে পরিচয়ের পর সাতক্ষীরার ইব্রাহিম হোসেন মুন্নার সঙ্গে চার বছর প্রেম করেন, তারপর বিয়ে করেন। বহ্নিশিখা ঘোষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নতুন নাম নিলেন ফারজানা ইয়াসমিন।
ইব্রাহিম হোসেন মুন্না সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম আবুঞ্জির ছেলে। জেঠুয়া বাজারে তার চায়ের দোকান আছে। বহ্নিশিখা ঘোষ (বর্তমানে ফারজানা ইয়াসমিন) ভারতের কলকাতার ব্যারাকপুর এলাকার তালপুকুর গ্রামের বিনয় কৃষ্ণ ঘোষের মেয়ে।
ফারজানা ইয়াসমিন জানান, তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। চার বছর আগে ফেসবুকে ইব্রাহিম হোসেন মুন্নার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৮ মার্চ নিজ ইচ্ছায় ভারত থেকে সাতক্ষীরার জেঠুয়া গ্রামে আসেন তিনি। এরপর সাতক্ষীরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা দেন, হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মুসলিম আইনে মুন্নাকে বিয়ে করেন। স্বামীর সংসারে সুখে আছেন বলেও জানান তিনি।
ইব্রাহিম হোসেন মুন্না জানান, লেখাপড়া কম জানলেও ফারজানা তাকে অনেক ভালোবাসে। ফারজানাকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন তিনি। কিন্তু তার নিকটাত্মীয়সহ কয়েকজন তাকে নানাভাবে হু’মকি দিচ্ছে। কয়েকদিন আগে তালা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুন্না ও তার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু খারাপ কিছু না পাওয়ায় জেনেশুনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তালা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, মেয়েটির বাবা পুলিশ কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসেন, ধর্মান্তরিত হয়ে ওই ছেলেকে বিয়ে করেন।
দুজন দুজন কে আপন করে নিলেও পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই ভারত থেকে ছুটে আসা ওই তরুণীকে মেনে নেয়নি এ নিয়ে সংসারে নানা কোলাহল চললেও কোন কিছুতেই পিছপা হচ্ছেন না যুবক। ওই তরুণী ভালোবাসার মধ্যদিয়ে সবার মন জয় করে পরিবারের সকল মানুষকে আপন করে নিতে চায় বলেও জানান তিনি।