প্রেম-ভালোবাসা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। দুজন মানুষের মধ্যকার ভালোকাগা থেকেই তৈরি হয় প্রেম-ভালোবাসার। বিশ্বাস ছাড়া কোনো ভালোবাসা বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনা। প্রেমের টানে মানুষ এক দেশ থেকে চলে যাচ্ছে অন্য দেশে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্তের প্রেমের বিষয় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে প্রেমকান্ত গিয়েছেন হাইকোর্টে।
প্রেমের জন্য বাংলাদেশে আসার পর মারধর ও অপমানিত হয়ে বরিশাল ছেড়ে যাওয়া দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্ত পরামর্শের জন্য একজন আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসানের হাইকোর্টের চেম্বারে আসেন এই ভারতীয় যুবক।
পরে ইশরাত হাসান বলেন, অন্য দেশের নাগরিক হলেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তার আছে। এই কারণে প্রেমকান্ত আইনি পরামর্শের জন্য আমাদের কাছে আসেন।
এর আগে ৬ আগস্ট বিকেলে পুলিশের সহায়তায় বরগুনা ত্যাগ করেন।জানা যায়, ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর প্রেমকান্তের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বরগুনার তালতলীর এক তরুণীর। প্রেমকান্তের কথায়, এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমিকের এক ঝলক দেখতে তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। গত ২৪ জুলাই বরিশালের একটি রেস্তোরাঁয় দুজনের দেখা হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওই তরুণী। এরপর থেকে সে বরিশাল ও বরগুনার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে থাকে।
তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট পুলিশের হেফাজতে থাকতে হবে। সেখান থেকে বিমানবন্দর পুলিশ নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে প্রেমকান্তকে ঢাকায় পাঠায়। কিন্তু প্রেমকান্ত ঢাকায় না গিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে বরিশাল থেকে সড়ক পথে বরগুনা যান। শুক্রবার বিকেলে তালতলী উপজেলায় প্রেমিককে খুঁজছিলেন তিনি।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা তামিলনাড়ুর প্রেমকান্তর নামে এক যুবকের নামে তালতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, তিনি তার প্রেমিককে খুঁজতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাদের এমন ঘটনা ঘটান। সামাজিকভাবে অপমানিত।
অভিযোগের বিষয়টি জানার পর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত বরগুনা পৌর বাস টার্মিনাল থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস বরিশালের উদ্দেশ্যে পাঠায় বরগুনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
প্েসঙ্গত, ছেলেটি তার মেন অনেক আশা নিয়ে ভালোবাসার টানে এসেছিল বাংলাদেশে তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে। কিন্তু তার প্রেমিকা যে তার সাথে এতো বড় প্রতারণা করবে সেইটা সে কোনোদিনি ভ আবতে পারেনি। এদেশে এসে প্রেমকান্ত ব্যর্থ হৃদয় নিয়ে ফিরে যেতে হল।