প্রেমের টানে পৃথিবীর এক প্রান্তে থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে আসে এটা নতুন নয়। প্রিয় মানুষটিক পেতে কত কিছুই না তাকে করতে হয় কিন্তু তার পরও ভালোবাসার মানুষকে পেতে পিছুপা হয় না। এবার তেমন ঘটনায় ঘটাল জার্মান তরুণী অ্যাসটিট ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউ। ভালোবেসে ধর্ম ত্যাগ করে বাংলাদেশের যুবক আসাদ কে করেন ওই জার্মান তরুণী। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের পরিচয় পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তারা বিয়ে করেন।
আসাদের বাবা জানান, তেমন পড়াশোনা করেনি আসাদ। শ্রমিকের কাজ করতেন। ফেসবুকে তার সঙ্গে জার্মান নারীর পরিচয় হয়। দুই বছর ধরে কথা বলতে বলতে প্রেমের সম্পর্ক।
প্রেমের টানে ২০১৯ সালের ১০ জুন জার্মানি থেকে বাংলাদেশে আসেন জার্মানির অ্যাসটিট ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউর। তিনি খুলনার আসাদ মোড়ল নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আসাদকে জার্মানিতে নিয়ে যান কাসুমী।
আসাদ মোড়ল খুলনা নগরের খানজাহান আলী এলাকার বাসিন্দা। আসাদের বাবা বলেন, “বাংলাদেশে আসার পর বউমা আসাদকে বিয়ে করার পর একমাস অবস্থান করেন। পরে জার্মানিতে চলে যান। সে সময় আসাদকে সঙ্গে নিতে পারেননি। এরমধ্যে ভিসা জটিলতার কারণে তিনি বাংলাদেশে আসতে পারেননি। গত দুই বছর ধরে আসাদের জন্য ভিসা ও কাগজপত্র তৈরি করেছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভিসা ও কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়। এরপর আসাদ জার্মানিতে চলে যান।
তিনি বলেন, “ছেলে-বউ প্রায় প্রতিদিনই আমাদের সঙ্গে কথা বলে। ছেলেটাও আমাদের জন্য টাকা পাঠায়। ছেলে ও বউমা বলেছে, তারা অনেক সুখে আছে। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন আসাদ।
আসাদের পরিবার জানায়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে আসার আগে কাসুমী তার জার্মান স্বামীকে তালাক দিয়েছিল। ওই বছরের ১০ জুন তিনি খুলনায় আসেন। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং আসাদকে বিয়ে করেন। বেশ কিছু দিন নগরের একটি হোটেলে থাকার পর খুলনার বাড়িতে ছিলেন মাসখানেক।
আসাদের বাবা জানান, আসাদ তেমন পড়াশোনা করেনি। শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ফেসবুকে এক জার্মান নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দুই বছর ধরে কথা বলতে বলতে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের সম্পর্ককে বাস্তবে রূপ দিতে জার্মানি থেকে প্রথম ঢাকায় আসেন কাসুমী। পরে ঢাকা থেকে খুলনায় এসে ১২ জুন ক্রিস্টিয়াল খুলনা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কাসুমী। পরদিন তাদের বিয়ে হয়।
প্রসঙ্গত, ভালোবাসার টানে সংসার-ধর্ম ত্যাগ করে ওই তরুণী বাংলাদেশী যুবক আসাদকে বিয়ে করেন। পরে তাকে জার্মানিতে নিয়ে গেছেন এখন ওই দম্পতি সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন।