প্রেমের টানে অনেক তরুণ-তরুণী পরিবার দেশ ধর্ম ত্যাগ করেছেন। অনেকের প্রেম বিবাহ সম্পর্কে রূপ নিলেও অনেকেই হয়েছেন ব্যর্থ। অনেক তরুণ-তরুণী তাদের স্বার্থ সিদ্ধি হয়ে গেলে নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে প্রতারণা করেন এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বহুবার প্রকাশিত হয়েছে। এমনই একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন অল্প বয়সী এক তরুণী।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এক নারী পোশাক শ্রমিকের সাথে খারপ কাজ করার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে পুলিশ তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে মামলার পর মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মেদিনীপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর প্রামানিক, জাহিদ মন্ডল ওরফে মিলন। এ মামলায় পলাতক যুবকের নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি উপজেলার গুজিয়া এলাকার বাসিন্দা।
আসামিদের মধ্যে ওই নারী পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে আব্দুল গফুরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শিবগঞ্জ থানার এসআই আইনুল হক অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, ওই নারী পোশাক শ্রমিক নেত্রকোনার বাসিন্দা। সম্প্রতি তার সঙ্গে আব্দুল গফুর প্রামাণিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফোনে কথা বলতে বলতেই প্রেমে পড়েন তারা। একপর্যায়ে গফুর ওই নারীকে শিবগঞ্জে যেতে বলেন। গফুর জানায়, গত শনিবার ওই নারী শিবগঞ্জে আসেন।
ওই রাতেই গফুর তাকে উপজেলার গুজিয়া এলাকায় সিরাজুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরদিন রবিবার সকালে গফুর বাড়ি থেকে বের হয়। ওই নারী সিরাজুলের বাড়িতে একা ছিলেন। এ সময় সিরাজুল ও মিলন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তবে এবার নিজেকে রক্ষা করলেন ওই নারী। পরে ওইদিন দুপুরে গফুর আবার ওই বাড়িতে যায়। গফুর ওই নারীকে বাসায় ফিরে যেতে বলেন। এমনকি জোর করে তাকে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টাও করে।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারণ তিনি আগে থেকেই কিছু ঘুমের ট্যাবলেট খাচ্ছিলেন। পরে গফুর ও তার সহযোগীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গফুরের গ্রামে যান ওই নারী। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন গফুর বিবাহিত এবং সন্তান রয়েছে। পরে সোমবার রাতে তিনি থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই তাদের গ্রাম থেকে গফুর ও মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, ওই নারী পোশাক শ্রমিক বাদী হয়ে থানায় একটি ধ/ র্ষণ মামলা করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই তরুণীকে মেডিকেল টেস্ট দেওয়া লাগবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন ওই তরুণী। তার সাথে ঘটে যাওয়া দুঃস্বপ্নের মতো এই ঘটনার জন্য আসামিদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই তরুণী।