প্রেম মানে না কোন বাধা। প্রেমে পড়ে প্রেমিক-প্রেমিকা সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে একে অপরের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ছুটে যাওয়ার নজির পৃথিবীতে ভুরিভুরি রয়েছে। প্রেমের টানে শান্তা ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি তরুনী ছুটে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গে প্রেমিকের কাছে। কিন্তু আপনজনদের ছেড়ে সেখানে গিয়ে প্রাণ গেল সেই তরুনীর।
শান্তা ইসলাম নামের ঐ তরুনী খু’/ন হয়েছেন বলে তার স্বজনেরা দাবি করছেন। আর স্ত্রীকে নিথর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুমন আহমেদের বিরুদ্ধে।
শান্তা ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার থলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত খু”/নি স্বামী সুমন আহমেদ টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা যান এবং কেপটাউনে কাজ করেন। পরে পুমালাঙ্গায় এসে ব্যবসা শুরু করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত নিথর হওয়া শান্তার এক আত্মীয় জানান, শান্তা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সুমন তাদের দূরের আত্মীয়। দেশে থাকার সময় শান্তার সঙ্গে সুমনের দীর্ঘদিনের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে শান্তা নিজ খরচে দেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে আসেন। স্থানীয়রা জানান, এরপর তাদের বিয়ে হয়; কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার কয়েকদিন পর থেকে শান্তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নি”র্যা/তন শুরু করে সুমন।
নি”/র্যাতনে সইতে না পেরে শান্তা দক্ষিণ আফ্রিকাতে বসবাস করা তার বাবার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ফিরে যেতে চায়। সে অনুযায়ী রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে শান্তাকে আনতে তার এক আত্মীয় লিডেনবার্গের বাসায় গেলে ঘরটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান।
পরবর্তীতে সেখানকার পুলিশের সহায়তা নিয়ে শান্তার বসবাসের ঘরে গেলে তার নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখতে পায় তাঁর স্বজনেরা। এ ঘটনার পর তার স্বামী সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। শান্তার স্বজনেরা অভিযুক্ত স্বামী সুমনকে খুঁজে বের করার জন্য সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিকট সহায়তা কামনা করেছেন।