প্রেমের টানে বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের বিদেশি তরুণ-তরুণীদের ছুটে আসার ঘটনা কম নয়। এবার প্রেমের টানে ভারতীয় যুবক বাংলাদেশ ছুটে এলেন তবে তার স্থান হলো শ্রীঘরে। জানা গেছে, ওই তরুণ পাবজি গেমের মাধ্যমে পরিচয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার একটি এলাকায় রতিকান্ত সুমন্ত নামের ২৩ বছর বয়সী ঐ ভারতীয় যুবক ঐ কিশোরীকে অপহ”রণের চেষ্টা করে, এই ঘটনায় ঐ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া টাউনের ৫নং ওয়ার্ডের টিএন্ডটি রোডে অমৃত সাধুর বাড়ির সামনে ভারতীয় যুবক এক কিশোরীকে মোটরসাইকেলে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। গ্রেফ’তারকৃত রতিকান্ত ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার বরদা গ্রামের লক্ষীকান্ত সামন্তর ছেলে।
পুলিশ জানায়, এক বছর আগে মঠবাড়িয়ার এক তরুণী অনলাইনে পাবজি খেলার সময় ভারতীয় যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ভিত্তিতে ভিডিও কলে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেন রতিকান্ত। এ সময় মোবাইল ফোনে ওই তরুণীর নানা ধরনের ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করেন। পরে তা এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বাধ্য করেন।
কিন্তু এক পর্যায়ে মেয়েটি কথা বলা বন্ধ করলে রতিকান্ত আপ”ত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি মেয়ের বাবার নজরে আসে। রতিকান্ত তখন মেয়েটিকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তা প্রত্যাখ্যান করা হলে সম্প্রতি রতিকান্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে মেয়েটিকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যার পর রতিকান্ত ওই তরুণীকে টিএন্ডটি রোডে দেখা করতে বলেন। এ সময় রাস্তায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ ৩-৪ জনের সহায়তায় রতিকান্ত ওই তরুণীর মুখ চেপে ধরে মোটরসাইকেলে ওঠানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারা ভারতীয় যুবককে আটক করে মেয়ের বাবাকে জানায়। পরে তার বাবা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভারতীয় যুবককে আটক করে।
মেয়েটির বাবা রোববার মঠবাড়িয়া থানায় অপহ”রণ ও ডিজিটাল আইনে এক ভারতীয় যুবকসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার যিনি মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় এসে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর ওই ভারতীয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ হিসেবে আদালতে মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং এরপর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে।