গত মাস দুই আগেই প্রেমের ফাঁদে ফেলে তানজিলা আক্তার নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন শ্রমিক লীগ নেতা রুবাইত রহমান (২২)। তবে বিয়ের পর থেকেই শুরু নানা টালবাহানা। ছোট-খালো বিষয় নিয়েও নানা কটু কথা শুনতে তানজিলাকে। আর এরই মধ্যে তানজিলার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রুবাইত। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন ও /হ//ত্যা//র হুমকি।
সেই ধারাবাহিকতায় জামালপুর স্বামী ও জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে গর্ভবতী পুত্রবধূকে নি/র্যা/তন ও /হ//ত্যা//র হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৮ জুন) রাতে জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার পুত্রবধূ তানজিলা আক্তার এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তানজিলা অভিযোগ করেন, জামালপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিউর রহমান বাবুর ছেলে রুবাইত রহমান (২২) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র। প্রেমে পড়ে দুই মাস আগে তাকে বিয়ে করেন রুবাইত। বিয়ের পর তিনি ও তার স্ত্রী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল কাউন্সিল বাজার এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। গত ১৩ মে তিন লাখ টাকা যৌতুক না নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
গত ২৪ মে যাত্রাবাড়ী থানায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন অন্তঃসত্ত্বা তানজিলা। মামলা প্রত্যাহার না করলে তাকে ও তার এক মাসের শিশুকে /হ//ত্যা/র হুম/কি দেন গৃহবধূ।
এদিকে এ অভিযোগের আলোকে শ্বশুর মসিউর রহমান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রীতিমতো এ অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমকে দাবি করেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে নানা কলহ লেগেই ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে তানজিলাকে তালাক দেয় রুবাইত।