স্বার্থের জন্য মানুষ কত কিনা করে। সাম্প্রতিক অল্প বয়সী তরুণী কে প্রেমের ফাদে ফেলে ভারতে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক একজন হিন্দু, প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম হয়ে ওই মেয়েকে বিয়ে করে। একপর্যায়ে তাকে বন্ধু-বান্ধব মিলে ভারতে পাচার করে দেয়। এরপর থেকে ওই মেয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে নিজের প্রতি অন্যের কথা তুলে ধরেন ওই তরুণী।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ভারতে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ভারতের শিলিগুড়ি এলাকা থেকে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর উদ্ধারের আবেদনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে তার ভাই স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় বোনকে উদ্ধার করে প্রতারককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে ওই ছাত্রকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ভারতে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের কলেজ ছাত্রী কুলসুম আক্তারকে হত্যা করে একই উপজেলার তিলক রায় নামে এক যুবক। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করা হয়েছে। 5 আগস্ট, বিষয়টি আলোচনায় আসে যখন ভারতের শিলিগুড়ি থেকে উদ্ধারের জন্য ভিকটিম কলেজ ছাত্রের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
খবর পেয়ে শিলিগুড়ি চলে যান কুলসুমের বড় ভাই। সেখানে পুলিশের সহায়তায় বোনকেও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিলককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে কুলসুমকে জেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক সুকুমার রায় দুই আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন।
এ ঘটনার তদন্ত এখনো চলমান ভারত পুলিশ এখনো ঘটনার সত্যতা উদ্ধারে বিভিন্ন এলাকায় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে মেয়েকে হারিয়ে গভীর ভাবে ভেঙে পড়েছে স্বজনরা, গণমাধ্যম দ্বারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে মেয়েকে ফিরিয়ে আনার আকুল আবেদন জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই তরুণের মা।