প্রেম ভালোবাসা মানুষের জীবনে একবার হলেও আসে। তবে বতর্মান সময়ে একবার নয় প্রেমে একজন মানুষের জীবনে বহুবারও আসেতে পারে। এই প্রেমের কারনে অনেক মানুষ তাদের জীবন অকালে হরিয়েছে। সম্প্রতি ঘটনা যাওয়া এমন একটি ঘটনা যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
খুলনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এনইউবি) সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র প্রমিজ নাগের আ/ ত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তার প্রেমিকা সুরাইয়া ইসলাম মিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) প্রমিজ নাগের ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ঘটনার পর থেকে সুরাইয়া ইসলাম মিম পলাতক রয়েছে। তিনি নড়াইলের কালীপুর উপজেলার বাবুর গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হরসিত মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মিম খুলনা নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ৬ষ্ঠ বর্ষের ছাত্রী। আর প্রমিস নাগ ছিলেন পঞ্চম বর্ষের ছাত্র। একই অংশ পড়ার ফলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্ক দীর্ঘ।
মিম প্রায়ই প্রমিজ নাগের ভাড়া বাসায় আসত এবং দীর্ঘ থাকার পর চলে যেত। 20 জুন তাদের সম্পর্কে ফাটল। এদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ভারি কোনো বস্তু দিয়ে প্রমিসের মাথায় আঘাত করেন মিম। তবে কী কারণে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তা জানা যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, গোবরচাকা এলাকার ১২৩ নম্বর বাড়ির নুর ইসলামের ভাড়াটিয়া মিম। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। যোগাযোগের মাধ্যমও বন্ধ। প্রমিথিউসের ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ বৃহস্পতিবার মিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারসিত মন্ডল জানান, মামলার পর থেকেই মিম তার শরীর ঢেকে রেখেছিলেন। তাকে পাওয়া গেলে তার আত্মহত্যার কারণ জানা যাবে। প্রমিজের বন্ধুরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
বুধবার (২২ জুন) দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার সিটি ইন হোটেলের পেছনের একটি বাসা থেকে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী প্রমিজ নাগের লাশ উদ্ধার করা হয়। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রমিজ নাগ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামের জোতিনময় নাগের ছেলে। আত্মহত্যার সময় তার পকেটে একটি চিঠি পায় পুলিশ। তবে তাতে কী লেখা ছিল তা প্রকাশ করা হয়নি।
আসামীকে সনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আসামী ধৃত হওয়ার পর এই মামলার ঘটনার বিষয়ে পুরোপুরি একটা ধারনা পাওয়া জাবে বলে মনে করছেন পুলিশ।