নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে গত তিনদিন ধরে অনশন করে যাচ্ছেন একজন মেধাবী কলেজ ছাত্রী। ওই ছাত্রীর দাবি, তার প্রেমিকা থাকে কিছুদিন আগে তাকে বিয়ে করেছেন। প্রেমিক লিটন রায়ের বাড়ি ডোমার উপজেলাধীন বোড়াগাড়ী ইউনিয়নাধীন নয়ানি বাকডোকরা বাবুপাড়া এলাকায়। তিনি প্রেমিকাকে শিকার করছেন না বলে জানিয়েছেন ঐ তরুনী।
লিপন রায় নয়নী বকডোকরা বাবুপাড়া এলাকার বাবু ভূপেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে। অনশনরত কলেজছাত্রী নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খলিশাপচা এলাকায়।
অনশনরত ওই ছাত্রী জানান, ছয় বছর আগে তার এক নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে লিপনের সঙ্গে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মন্দিরে লিপনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কয়েকদিন এক বাড়িতে থাকে। কিন্তু চাকরি না থাকায় বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন লিপন।
স্বামীর কথায় বিষয়টি গোপন রেখে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান তারা। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই লিপনের। তাই বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লিপনের বাড়িতে যান তিনি। একই সঙ্গে তার পরিবারকে বিয়ের কথা জানানো হয়।
লিপনের বাবা বাবু ভূপেশ চন্দ্র রায় বলেন, মেয়েটি তিন দিন ধরে আমার বাড়িতে আছে। শুনেছি আমার ছেলে তাকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য মেয়ের বাড়ির লোকজনকে জানানো হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম রিমন যিনি বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন, তিনি ঘটনা সম্পর্কে বলেন, আমি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। তবে ঘটনাটি যেহেতু দুই পরিবারের সম্মানের বিষয়, সেহেতু এ বিষয়টি এমনভাবে নিষ্পত্তি করা উচিত, যাতে করে উভয়পক্ষের জন্য একটি সুন্দর সমাধান আসে। তবে যদি মেয়েটিকে বিয়ে করেই থাকে তাহলে তাকে তার গ্রহণ করতে হবে এর অন্য উপায় আপাতত নেই।