পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে ‘ঘনিষ্ট সম্পর্ক’দেখে ফেলেন সাকিব হোসেন। ঘটনাটি সমাজে জানাজানি হবে এবং প্রেমিকের সংসার ভেঙে যাবে এই ভয়ে তারা শাকিবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর তারা লেবুর শরবতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সাকিবকে খাওয়ান। সাকিব ঘুমের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার প্রেমিক মফিজুল ও প্রেমিকা সুফিয়া গভীর রাতে তাকে বাসা থেকে বের করে গলায় তোয়ালে পেঁচিয়ে শ্বা’স’রো’ধ করে ‘হ”ত্যা’ করে। পরে তারা সাকিবের লাশ টয়লেটের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। এরপর আত্মগোপন করেন মফিজুল।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন মফিজুল। পরে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গ্রেফতারকৃত মফিজুল ইসলাম সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার কলাউড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুর রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী জানান, গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার টয়লেটের ট্যাঙ্ক থেকে সাকিব হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাকিবের বাবা নাঙ্গলকোট থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আনোয়ার হোসেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুর রেলস্টেশন থেকে ইব্রাহিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার বিকেলে সাকিব হোসেন ‘হ’ত্যা’ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি মফিজুল।
জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি জানান, সাতবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের সুফিয়া বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তারা হত্যার পরিকল্পনা করেছিল কারণ তারা আশঙ্কা করেছিল যে শাকিব তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জানতে পারবে এবং সুফিয়া বেগমের পরিবার ভেঙে যাবে।
তিনি আরও জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে আসামি মফিজুল প্রথমে লেবুর শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শাকিবকে খাওয়ায়। এতেই গভীর ঘুমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সাকিব। গভীর রাতে মফিজুল ও সুফিয়া তাকে বাসা থেকে বের করে গ’লায় গাম’ছা পেঁচিয়ে শ্বাস’রো’ধ করে হ”ত্যা’ করে। পরে তারা সাকিবের লাশ টয়লেটের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। এরপর আত্মগোপন করেন মফিজুল। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামি মফিজুলকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।