ভারতে বিভিন্ন সময় পরকীয়ার নানা ঘটনা ঘটে চলেছে, এই পরকীয়ার কারনে সমাজে নানা অসঙ্গতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই সাথে দেখে যায় এই পরকীয়ার কারনে অনেকে নানা ক্ষতির মুখে পড়ে, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। গত চার মাস আগে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া পুত্রবধূ হঠাৎ শ্বশুর বাড়িতে হাজির। সবাই অবাক হয়ে কারণ খুঁজতে লাগল। কিন্তু কারণ জানার আগেই তারা নগদ টাকা ও অলংকার হারিয়ে ফেলে।শাশুড়িকে বেহুশ করে নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেয় যুগল।
এই ঘটনার পর স্ত্রীকে খুঁজতে পুলিশের দ্বারস্থ হন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার শিশুবাগান এলাকায়।
পারিবারিক সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত মুক্তি মালাকার সাহা গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। চার বছর আগে শিশুবাগান এলাকার বাসিন্দা শংকর সাহার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দম্পতির একটি ছেলেও রয়েছে।
চার মাস আগে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন বধূ। এরপর বিভিন্ন স্থানে মুক্তি সাহাকে খুঁজতে থাকে পরিবার। কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার (২৫ জুলাই) হঠাৎ করে শ্বশুর বাড়িতে হাজির হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন এক যুবক।
প্রতিবেশীদের দাবি, প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন মুক্তি। এ সময় তার শাশুড়ি বাড়িতে একা ছিলেন। শাশুড়ির সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ মুখের কাছে রুমাল চেপে ধরলেন। এরপর শঙ্করের মা মিনা দেবী সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি। ঘণ্টাখানেক পর তিনি দেখলেন, তার সঙ্গে আসা ওই নারী ও যুবকটি বাড়িতে নেই। আলমারি ভাঙা, শোকেস খোলা, ঘরে সোনার গয়না নেই। এর পর বৃদ্ধা ছেলেদের ডাকলেন।
ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার ঘটনার পর বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে সেখানে দেখা গিয়েছে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পর আবারো ফিরে এসে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে চলে গিয়েছে গৃহবধু। এই ঘটনায় মুক্তির স্বামী শঙ্কর সাহা বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। স্ত্রীর শাস্তিও দাবি করেন তিনি। মীনাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুক্তির প্রেমিকা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।