ছোট বেলাতে নিজের মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন নিতাম নামের এক যুবক। তারপর থেকে দাদির কাছে মানুষ। কিছু দিন হলো সেই শেষ সম্বল হিসেবে নিজের কাছে থাকা দাদিয় চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তারপর থেকেই সে সম্পুর্ন একা হয়ে গেছে। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার এক তরুনীর সাথে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের ভিতরে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রথম পরিচয়। তা থেকে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তারা নিয়মিত ফোনে কথা বলত। সেই ফোনকল ঘিরে ঝামেলা হয়েছিল। প্রেমিকা কিছু না বলে ফোন কেটে দিলে আত্মহননের চেষ্টা করেন যুবক। মঙ্গলবার বিকেলে এমন ঘটনার সাক্ষী পান্ডুয়াবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। (হুগলী নিউজ) স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্ডুয়ার এক যুবককে র// ক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবককে র// ক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী। যুবকের হাতে অসংখ্য ক্ষত রয়েছে। ব্লেড দিয়ে নিজের হাতেই জখম করেন ওই যুবক। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছেছে। ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তার নাম রিতম দত্ত। বছর ২১ রিতমের বাড়ি নদীয়ার কল্যাণীতে। অল্প বয়সেই বাবা-মাকে হারান তিনি।
সেই থেকে দাদির কাছে মানুষ। কিন্তু কিছুদিন আগে তার একমাত্র দাদিও মারা যান। এরপর থেকে যুবকটি সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়ে। ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলের জন্য তৈরি করতে অধ্যয়ন উৎসব, অভিনব উদ্যোগ ওই তরুণী জানান, কলকাতার একটি হোটেলে কাজ করেন রিতম। পাঁচ মাস আগে ফেস// বুকে তাদের মধ্যে কথা হয়। সেখান থেকেই প্রেমের শুরু। সোমবার রাতে ফোনে কথা বলার সময় একটি বিশেষ কাজের কারণে ওই যুবকের বান্ধবী তাকে ফোন করে। আর তার পরেই এই চমকপ্রদ ঘটনা। প্রেমিকার ফোন কেটে দিতে ব্লেড দিয়ে দুই হাতে জখম করেন যুবক। প্রেমিকের এমন কাণ্ড দেখে প্রেমিকাও হতবাক। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ভয়ে প্রেমিকা এই অপরাধ করেছে। মঙ্গলবার রাতে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে পুলিশ তাকে তার বাড়িতে পাঠায়।
উল্লেখ্য, সামাজিক মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা এক যুবকের প্রেমের ঘটনা দেখে রীতিমত তার প্রেমিকসহ এলাকাবাসী সবাই অবাক হয়েছেন। তার প্রেমিকা ফোনে কথা বলতে বলতে সেই ফোন হঠাৎ করেই কেটে দেয়। প্রেমিকার এই হঠাৎ ফোন কেটে দেওয়ার বিষয়টি সে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেনি। তাই সে সম্পর্ক হয়তো ভেঙ্গে যেতে পারে সেই ভয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন। তবে এই যাত্রায় সে বেঁচে গেছেন।