দীর্ঘদিন ধরে একই সাথে সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছে স্বামী স্ত্রী দুজনেই। কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ নেই। সমান ভাবেই দুজন দুজনকে বিশ্বস করেন। তবে এই বিশ্বাসের ঘরে শেষ প্রর্যন্ত ডাক্তারি পরিক্ষা-নিরিক্ষার ফলাফলকে কেন্দ্র করে ভাঙ্গনের সুর বাজতে শুরু করে। তবে স্বামী তার স্ত্রীকে স্পষ্টভাবে চিনতে সক্ষম হলেও, স্ত্রীর সাথে দম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত্য গ্রহনে তিনি মোটেও রাজি নন।
অনেকেই তাদের প্রেমিকের কাছ থেকে অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখেন। কেউ কেউ অন্য সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সেই কথা ফাঁস হয়ে গেলেই সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায়। একই ঘটনা ঘটেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির জীবনে। তিনি নিজেই একটি সংবাদ সংস্থাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জানান, তার বান্ধবীর বয়স ৩৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন ছিল। কিন্তু এই সুখের জীবনে ভাঙ্গনের সম্প্রতি অনেক কারণ রয়েছে। এরই মধ্যে লোকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি একাই চিকিৎসা কেন্দ্রে যান। পরীক্ষায় জানা যায় তিনি গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। পরীক্ষার ফল শোনার পর ওই ব্যক্তি আকাশ থেকে পড়তে শুরু করেন। কারণ সঙ্গী ছাড়া কারও সঙ্গে তার কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই।
তার পরেও অবশ্য ওই মহিলার প্রতি যুবকের কোনো সন্দেহ ছিল না। পুরো ঘটনার কথা সঙ্গীকেও জানান তিনি। প্রেমিকা তাকে বলেছিলেন যে তিনি অন্য কোনও উপায়ে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু হঠাৎ করে লোকটি বুঝতে পারে যে তার সঙ্গী ডাক্তাররা তাকে এক মাস ধরে যে ওষুধ দিচ্ছেন সেই একই ওষুধ খাচ্ছেন। সঙ্গীর মোবাইল পরীক্ষা করে সন্দেহ পরিণত হয় সিদ্ধান্তে। যুবকটি দেখেন যে মহিলার ফোনে একাধিক পুরুষের ঠিকানা এবং সময় গণনা করে একটি টেক্সট মেসেজ এসেছে। তবে এত কিছুর পরও ওই ব্যক্তি বলেন, এই ভালোবাসার বন্ধন তিনি ভাঙতে পারবেন না। সে এখনও সেই মহিলাকে ভালবাসে।
উল্লেখ্য, স্বামীর ডাক্তারি রিপোর্ট অনুযায়ী গনোরিয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। তবে এই চিকিৎসকের এই রিপোর্টে সম্পুর্ন হতবাক ভুক্তভোগী। কারন তিনি বিবাহিত তা ছাড়া তিনি তার স্ত্রী ছাড়া অন্য আর কারো সাথে সহবাসে লিপ্ত হননি। তবে কেন এই রোগ তার শরীরে বাসা বেধেছে, সেটা সে কোনভাবেই বুঝতে পারে না। অবশেষে তার এই রোগের বাহক তার স্ত্রী নিজেই সে সেটা বুঝতে পেরেছে। তবে এই বিষয়ে সে দম্পত্য জীবনের ইতি টানার মতো কোন সিদ্ধন্ত্য গ্রহন করতে চান না। কারন তিনি তার সঙ্গীকে ব্যাপক ভালোবাসেন।