Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রিজাইডিং অফিসারের নাকে ঘুসি মেরে জানালা ভেঙে পালালেন নৌকা প্রার্থী

প্রিজাইডিং অফিসারের নাকে ঘুসি মেরে জানালা ভেঙে পালালেন নৌকা প্রার্থী

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে চলছে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড। সহিংসতায় খবর গুলো যেন নিত্যদিনের নির্বাচন কেন্দ্রের খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সাভারের একটি নির্বাচন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর করার মতো অভিযোগ এসেছে। মেরে আবার জানালা ভেঙ্গে পালানোর কথাও শোনা গেছে।

জাল ভোট ও সিল মারতে বাধা দেওয়ায় এক প্রিজাইডিং অফিসারকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় সাময়িক ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। পরে ওই কেন্দ্রে গেলে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজনকে অবরুদ্ধ করে ভোটাররা। পরে জানালা ভেঙে পালান তিনি।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৩টার দিকে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান তাঁর কর্মী ইসরাফিলসহ সমর্থক নিয়ে ওই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা জোর করে সিল মারতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার নজরুল ইসলাম বাধা দেন। তখন প্রিজাইডিং অফিসারের নাকে ও মাথায় ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে নৌকার সমর্থকরা। বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যানসহ তাঁর কর্মী-সমর্থককে অবরুদ্ধ করে রাখেন ভোটাররা। অবস্থা বেগতিক হলে জানালা ভেঙে তারা পালিয়ে যায়।

আহত প্রিজাইডিং অফিসারকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নেওয়া হয়।

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সুজন বলেন, ‘আমি কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের লোকজন আমার ওপর হামলা করতে চাইছে। আমি পালিয়েছি প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে। পরে ওই রুমের দরজা ভেঙে ফেলার উপক্রম হলে আমার এক ছোট ভাইয়ের সাহায্যে জানালার গ্রিল দুইটা ভেঙে আমি কোনোমতে হেঁচড়িয়ে নেমেছি।’

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘কেন্দ্রে ঝামেলার কথা শুনে আমি এসেছি। এখানে পরিস্থিতি অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছিল। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার জিল্লুর রহমান রাশেদ বলেন, ‘ওই কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আহত প্রিজাইডিং অফিসারকে আমরা চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিক্যালে পাঠিয়েছি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ একরকম আবার নৌকা প্রার্থীর বক্তব্য অন্যরকম। প্রশাসন কর্মকর্তা জানিয়েছে আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে এমন কথা শোনা যায়নি। আর পরবর্তীতে কী ধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে সেটা দেখতে গেলে হয়তো আরও অপেক্ষা করা লাগবে আমাদের। তবে সাথে সাথে কোন পদক্ষেপ রিটার্নিং অফিসার জিল্লুর রহমান রাশেদ এর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।

About Ibrahim Hassan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *