বাংলাদেশের রাজনীতির সব থেকে বড় রাজনৈতিক দলের নাম কোনটি যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে এক বারেই জবাব আসবে একটি আর তা হলো আওয়ামীলীগ। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলটিই বাংলাদেশের সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল। এরপর নাম আসে বিএনপির। এ দিকে বিনপির সাথে জামাতের সক্ষতা নিয়ে সব সময়ই নাখোশ থাকে আওয়ামীলীগ। আর এই কারনে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছ। তবে এবার উঠছে নতুন প্রশ্। আর এই প্রশ্ন করেছন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু)।
নিবন্ধন বাতিল হলেও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের গোপন সম্পর্ক অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু)।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার সিকদার রিয়েল এস্টেট সংলগ্ন মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশে ইকবাল হাসান মাহমুদ এ কথা বলেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মুখ থেকে প্রায়ই শুনি, গুন্ডামি হয়ে গেছে। তারা প্রায়ই বলে, বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। আমি বলছি, এখন সময় এসেছে আওয়ামী-জামায়াত, আওয়ামী-জামায়াত বলার। জামায়াত ও উর্দু, আওয়ামী লীগ ও উর্দু- দুটোই একসঙ্গে ভালো হবে। কারণ তারা (আওয়ামী লীগ) জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করলেও অবৈধ ঘোষণা করেনি। তাহলে কি বলব, তাদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক!’
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা বলছেন যুদ্ধাপরাধী দল। আমি অস্বীকার করি না, তবে নিবন্ধন বাতিল, অবৈধ ঘোষণা করিনি। তার মানে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব করছে, বাতিল করছে না। তাই আজ থেকে আওয়ামী-জামায়াত থাকবে, বিএনপি-জামায়াত আর থাকবে না।’
সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, “রাতে শুনলাম ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে মিটিং করব। দুই ঘণ্টা পর শুনলাম এই জায়গাটা বাতিল করা হয়েছে। তারপর রাত থেকে এদিক ওদিক, ওখানে, ওখানে, ওরে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, ওসি অনুমতি দিলে সভা করতে পারব, ওসি অনুমতি না দিলে সভা করতে পারব না।’
সরকারের সমালোচনা করে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আপনারা আজ গণতন্ত্র লুট করেছেন। আমরা কিছু বললে তারা পাকিস্তানের দালাল বলে। আরে আপনি যা করছেন তা ভুল, আমরা পাকিস্তান আমলে রাজনীতি করেছি। সভা করার জন্য আমাদের ওসির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়নি। তাই তুমি তাদের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছ। খারাপ খারাপ, খারাপের চেয়ে খারাপ।
প্রসঙ্গত, এ দিকে গেলো কয়েকদিন আগে সারা দেশের রাজনীতির ম্যাথ সরগরম হয়ে ওঠে একটা বিষয়ে। আর তা হলো জানা যায় জামায়েত ছেড়ে দিয়েছে বিনপির জোট। আর সেই থেকেই সবখানে শুরু হয় নতুন সমীকরণ। অবশ্য অনেকেই মনে করছেন এটা তাদের একটি রাজনৈতিক চাল।