সারাদেশে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্রো করে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা। কোথাও কোথাও তৈরি হচ্ছে অস্থিতিশীল পরিবেশ। সম্প্রতি একজন মুক্তিযোদ্ধা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ালে তাকে মারধরের অভিযোগ মেলে সিরাজগঞ্জে। তাকে প্রার্থী পদ থেকে বসাতে মারধর করে ঐ এলাকার আ.লীগ প্রার্থী। তবুও আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। নৌকার বিরুদ্ধে দারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম নামের এই ব্যাক্তি।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়রা ইউপি নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম মটরসাইকেল প্রতীকে ৮ হাজার ০৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন তালুকদার আনারস প্রতীকে ১৪৫ ভোট পেয়েছেন।
এ ইউপিতে ১৫ হাজা ১০৬জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ১১৯ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১১ হাজার ৮২৯টি, আর বাতিল হয়েছে ২৯০টি ভোট।
জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম বলেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, যেন স্বাধীন দেশের মানুষ গনতন্ত্র ও ভোটাধিকার পায়। ভোটের আগেও আমি প্রশাসনের কাছে সেটাই চেয়েছিলাম। এ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে, জনগন সঠিক রায় দিলে এবং প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র ও প্রভাব কাজে লাগে না।
নির্বাচনের আগে গত বুধবার আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিনের কর্মী ও সমর্থকরা ৮৭ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমের উপর হামলা চালায়। এতে তার ডান হাতের কনুইয়ের উপরে ও বাম পায়ে থেতলে যায়। এছাড়াও আরও ৫জন সমর্থক আহত হন।
মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম পূর্বে ছিলেন কৃষকলীগের সভাপতি। এর আগেও তিনি ৫ বার চেয়ারম্যান হওয়ার সাথে সাথে সেরা চেয়ারম্যানের তকমাটাও নিয়েছিলেন রাজশাহী বিভাগে।
বয়স টা অনেক বেশি তার কিন্তু তিনি থামতে নারাজ। মুক্তিযোদ্ধা হয়ে তিনি দেশের জন্য লড়েছেন এদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর ৫ বার চেয়ারম্যানের দয়িত্ব নিয়ে তিনি চেস্টা করে গেছেন মানুষের জন্য কিছু করার। হয়ত যতদিন বাঁচবেন এভাবেই হার না মানা মুক্তিযোদ্ধার মত লড়ে যাবেন মানুষের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যে।