দিন যাচ্ছে আর আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার ধরন পাল্টাচ্ছে। দেশ উন্নত হওয়ার তালে তালে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে আরো উন্নতির দিকে। পূর্বের শিক্ষাব্যাবস্থার সাথে বর্তমানের রয়েছে অনেক পার্থক্য। দিন যাচ্ছে মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুনত্য খুযছে মানুষ সকল কিছুর ভিতর। শিক্ষা ব্যাবস্থায়ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি কিছু। তবে দীর্ঘদিন লকডাউনে এই খাত অনেক বেশি খতিগ্রস্থ। যে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এখন নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন পদক্ষেপ। তবে এসব পদক্ষেপ বেসিরভাগ সময় বিপাকে ফেলে দিচ্ছে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের।
পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে শীতকালীন ছুটি। এই ঘোষণা অনুযায়ী সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিলো। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নতুন নির্দেশনায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-১ শাখা থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। সার্কুলারে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড় দিন) ও শীতকালীন অবকাশ বর্ষপঞ্জিতে উল্লেখিত ১৯-২৯ ডিসেম্বর ০২১ তারিখের পরিবর্তে ২৪-২৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০২১ খ্রিস্টাব্দের বাৎসরিক ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সে অনুযায়ী দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৌখিক বা লিখিত মূল্যায়ন শেষ করা হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বা দূর-দূরান্তে বেড়াতে গেছে।
শিক্ষকরা বলছেন, আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে শীতকালীন ছুটি। এ ছিলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পুরোনো নির্দেশনা। কিন্তু হঠাৎ করেই নতুন সিদ্ধান্ত এলো শনিবার। এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস চালিয়ে যেতে। এরইমধ্যে ক্লাসের কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরাও সবাই ছুটিতে। অধিদফতরের নতুন নির্দেশনায় নতুন ভোগান্তিতে পড়েছেন সবাই।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একই পরিবারের প্রাথমিকের শিশুরাও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি একেবারেই কম। এই অবস্থায় আমরা ১৯ ডিসেম্বর থেকেই শীতকালীন ছুটি মঞ্জুরের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, শীতকালীন ছুটি নিয়ে নতুন এক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যেহেতু এ বিষয়ে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তাই এখনই আমরা একটি সার্কুলার জারি করছি।
তিনি আরো বলেন, রিমিডিয়াল প্লান অনুসারে ক্লাস ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্তই চলবে। ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন ছুটি থাকবে।
এসব হুট করে নেয়া সিদ্ধান্ত যে উপকারের বদলে ক্ষতি করছে তা আর বলার উপেক্ষা রাখেনা। তবে এখন দেখার বিষয় সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে কত সময় লাগে। আর এই সমস্যার সমাধান কিভাবে পাওয়া যায়। তবে সবাই হয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া এই মূহুর্তে সম্ভব না, কারন অনেকেই বেড়াতে গেছে আত্মীয়ের বাড়ি।