বাংলা রূপালী জগতের সত্তরের দশকের অন্যতম খ্যাতিমান ও কিংবদন্তি অভিনেতা সোহেল রানা। ক্যারিয়ারের শুরুতে পরিচালক হিসেবে মিডিয়ায় যাত্রা করলেও সময়ের ব্যবধানে নিজেকে সেরা অভিনেতা হিসেবে মেলে ধরতে সক্ষম হন তিনি। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েক বছর হলো অভিনয়ে খুব একটা দেখা মেলা তার।
দেশের হাসপাতালে চোখের ভুল চিকিৎসায় অন্ধ হয়ে যেতে বসেছিলেন সোহেল রানার। বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে অভিনেতা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘যে দেশের জন্য আমি জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছি, সেই দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমার জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের কাছে দেশ ও মানুষের কোনো মূল্য নেই।
তিনি বলেন, যে দেশের মানুষের জন্য আমি আমার জীবন বাজি রেখেছিলাম, সেই দেশের কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই স্বাধীন দেশে এখনো কিছু মানুষ আছে, যাদের কাছে দেশ ও মানুষের কোনো মূল্য নেই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার শিল্পীসমাজকেও জানিয়েছি- দেখা যাক। আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এই দেশ, মানুষ ও অভিনয়ের জন্য। এখন এই দেশ, এর মানুষ এবং অভিনয় আমার জন্য কী করে?
সিঙ্গাপুরে গিয়ে চোখের ভুল চিকিৎসায় এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সোহেল রানার ছেলে মাশরুর পারভেজ। একই কথা বললেন সোহেল রানাও। তিনি বললেন, ‘ওদের বিরুদ্ধে কথা না বললে ওরা আরও মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।’ ডাক্তার এমন হলে মানুষ যাবে কোথায়?’
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে ‘ওরা ১১ জন ‘ নামক একটি সিনেমায় চিত্রপরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা। এরপর একনাগাড়ে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি কোটি ভক্তের ভালোবাসা কুড়ান তিনি। তবে বর্তমানে সুস্থতার কারণে অভিনয় থেকে অনেকটা বাইরে রয়েছেন তিনি।