Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রাণের ভাই চুনকা জীবিত থাকলে আমার সঙ্গেই হাঁটতেন: তৈমুর

প্রাণের ভাই চুনকা জীবিত থাকলে আমার সঙ্গেই হাঁটতেন: তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি রয়েছে। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে মেয়ার প্রার্থীসহ ওয়ার্ড কমিশনার পদে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা। এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্রার্থী হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। এই দুজন প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দরজায় দরজায়। নারায়নগন্জ পৌর নগরীতে ২৭ টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলরসহ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররাও জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসকল প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন।

নাসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আজ আমার প্রাণের ভাই আলী আহম্মেদ চুনকা (সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাবা) যদি বেঁচে থাকতেন তিনি আমার পক্ষে নির্বাচন করতেন। তিনি আমার সঙ্গে হাঁটতেন। কারণ আমি তার নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন আমি তার সঙ্গে ছিলাম।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মিশনপাড়ায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।

প্রতিপক্ষ মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠে তিনি নিজে দলের ব্যাপারেও কথা বলেছেন। নিজ দলের এমপিকে (শামীম ওসমান) গডফাদার বলেছেন। তিনি শুধু সরকারি দলকে বিতর্কিত করেননি, তিনি আমার নেত্রীকেও (খালেদা জিয়া) অপমান করেছেন। তিনি বলেছেন, দুই নেত্রী দেশকে ধ্বং’স করেছেন। এই দুই নেত্রীকেও তিনি ছাড় দেননি, আমাকে কী ছাড় দেবেন। সাবেক মেয়র হিসেবে তার নিজ বক্তব্যে আরও সাবলীল ও সাবধান হওয়া উচিত।’

তৈমূর বলেন, ‘আমি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কি’ত। আমি কোনো দলের ব্যানারে দাঁড়াইনি। আমাকে মানুষ দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দিচ্ছে। পত্রিকায় আপনারা দেখেছেন, জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ অনেকেই আমার সঙ্গে ছিলেন।’

উল্লেখ্য, আগামী ১৬ই জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন। আর এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে প্রার্থীরা আশা করছেন। ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন জনগণ তাকেই ভোট দেবেন। জয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী। এদিকে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি জনগণের বিপুল সমর্থন পাচ্ছি। তিনি বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার উপদেষ্টা পদ হারানোর পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেন আমাকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নৌকার ভোট পাওয়ার জন্য একটি বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে দল থেকে।’

About

Check Also

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নয়াদিল্লির জবাব, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পৌষ মাস নাকি সর্বনাশ?

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে। নয়াদিল্লি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *