রুহুল কবির রিজভী হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি এই পদে বহাল রয়েছেন। এই সম্মানীয় পদে বহাল থেকে রুহুল কবির রিজভী একগ্রতার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে জড়িত।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে ভোলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমকে পুলিশ গুলি করে প্রাণনাশ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এই প্রাণনাশের ঘটনা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দেশব্যাপী জ্বালানি সংকট ও বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ঘটনার পরপরই সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো বাধা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিহত করবে। তার বক্তব্য প্রমাণ করে যে, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির আন্দোলন ও প্রতিবাদের ভয়ে এই স্বেচ্ছাসেবক নেতাকে প্রাণনাশ করেছেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ছায়েদুল আলম বাবুলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবার পর থেকে দেশ থেকে জ/ঙ্গী ও স/ন্ত্রাস নির্মূল হয়ে গিয়েছে।