সজিব ওয়াজেদ জয় হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছেলে এবং বাংলাদেশের একজন আইসিটি পরামর্শক। এছাড়াও তিনি একজন এআজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সুপরিচিত। তিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন গ্রে/’নেড হামলার আগে হাওয়া ভবনে তারেক রহমান বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রে/’নেড হামলার আগে বিএনপি নেতা তারিক রহমান হাওয়া ভবনে হামলার পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে এক ভিজ্যুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয় বলেন, গ্রেনেড হামলার কয়েকদিন আগে ১৪ আগস্ট তারিক রহমান বিএনপির বিকল্পধারা হাওয়া ভবনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং হরকাত-উল-জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও মাওলানা তাজউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই সময় শক্তি কেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমনকি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
জয় আরও বলেন, দুই দিন পর ১৬ আগস্ট রাজধানীর মিন্টো রোডে বাবরের বাসায় দ্বিতীয় বৈঠক হয়, যেখানে পুরো পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
সজিব ওয়াজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডিত প্রাণনাশকারী নূর চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবুল কালাম চৌধুরী। আবদুস সালাম পিন্টু প্রমুখ হাওয়া ভবন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে হরকাত-উল-জিহাদ একটি শক্তিশালী গ্রে/’নেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ভয়াবহ গ্রে/’নেড বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগের ২৬ নেতা-কর্মী প্রয়াত হন।
এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। সমস্ত আলামত নষ্ট করতে পুলিশ দ্রুত জল দিয়ে ঘটনাস্থল ধুয়ে দেয়। পরে, তারিক এবং ডিউক রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠায়, জয় বলেন।
প্রসঙ্গত, মানুষ তাদের কর্মের ফল একদিন না একদিন ভোগ করেই থাকে। ভালো কাজ করলে ভালো ফল পায় আর খারাপ কাজ করলে খারাপ ফল পায় আর এমনটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। পাপ মানুষকে কখনই ভালো রাখতে পারেনা। মানুষ যখন অপরাধ করে তখন সে কোনো কিছুর মোহে আসক্ত হয়ে ভবিষ্যত কর্মফলের কথা ভুলে যায়।