নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার একটি এলাকায় ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে খারাপ কাজের চেষ্টার হয়রানির অভিযোগ ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঐ শিক্ষকের বিচারের দাবি তুলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী সময়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করার পর থানায় নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার নোয়াখলা ইউনিয়নের তালতলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে গেলে ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে খারাপ কাজের চেষ্টা করে একই বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক। সাইফুল ইসলাম (৩২)। সে একই ইউনিয়নের কড়িহাটি গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলে।
তালতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার পাল জানান, গতকাল শনিবার সকালে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য তালতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে যায়। সেখানে গণিত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে খারাপ কাজের চেষ্টা এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। কে বা কারা গোপনে সেই আপত্তিকর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি জানতে পারি। আজ সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষো”ভ করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাটখিল থানার ওসি মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রে”ফতার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া যিনি চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে জানান, ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা ছড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাকে সাময়িকভাবে তালতলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এটা কোন শিক্ষকের কাছ থেকে কাম্য নয়।