শিক্ষক হলেন প্রতেক শিক্ষার্থীদের জীবনে একজন আদর্শ ব্যক্তি। একজন শিক্ষকের আদর্শে ছাত্ররা মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। শিক্ষকের ঋণ অপরিশোধনীয়। শিক্ষকের স্থান বাবা মায়ের পরেই। ছাত্রের জীবনে আপরিসীম ভূমিকা রয়েছে শিক্ষকের। ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্ক হলো মহৎ একটা সম্পর্ক। একজন শিক্ষক ছাত্রদের কাছে পিতা মাতার ( Father mother ) থেকে কোনো অংশে কম ভূমিকা পালন করেনা। আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ হলেন বাংলাদেশের ( Bangladesh ) একজন আলোচিত ইসলামিক বক্তা। সম্প্রতি জানা গেছে যে, প্রহৃত হওয়া সেই শি”শুর পিতাকে ফান দিয়ে মামলা তুলে নিয়ার হু/’মকি দিলেন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ।
বহুল আলোচিত-সমালোচিত ইসলামিক বক্তা আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ( Joseph ) বিরুদ্ধে এবার নি”র্যা/’তনের শি”কার মাদ্রাসার সেই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার হু/’মকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ ( March )) সকালে ( morning ) গনমাধ্যমের কাছে সেই শি”শুর বাবা মেরাজুল ইসলাম রেন্টু ( Merajul Islam Rentu )কে হুম’/কি দেওয়ার বেশ কয়েকটি অডিও কলের রেকর্ড হাতে এসেছে।
যেখানে শোনা যাচ্ছে চরমভাবে প্রহারের শিকার ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হু/’মকি ও অভিশাপ দিচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। পাঠকদের জন্য মোবাইল কলের অডিও রেকর্ড তুলে ধরা হলো।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আপনি মেরাজুল ইসলাম রেন্টু ( Merajul Islam Rentu ) বলছেন।
রেন্টু : জ্বি ওস্তাদজি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : চিনতে পেরেছেন?
রেন্টু : জ্বি ওস্তাদজি, চিনতে পেরেছি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আমি গত পরশু ( day yesterday ) দিন আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য আব্দুর রহমানের ( Abdur Rahman ) মামাকে দিয়ে খুব চেষ্টা করেছিলাম। ফোনও দিয়েছিলাম।
রেন্টু : জ্বি ওস্তাদজি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আমি একটা মামলার কাগজ দেখতে পারছি। আমি হাতে নিলাম এটা।
রেন্টু: জ্বি ওস্তাদজি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আমি কি জাতির ক্ষতি করেছি।
রেন্টু : না আমি আপনাকে অনেক সম্মান করি। আমার সন্তানকে আপনার মাদ্রাসায় দিয়েছি। এটা তো বুঝতে পারছেন।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : মোবারাকাল।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আপনার কথাটা আপনি আগে বলেন।
রেন্টু : না ওস্তাদজি, বলেন আপনি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আমার কথা হলো আপনি বাবা হয়ে ছেলেটার ক্ষতি করলেন। আমার মাদরাসায় ভর্তি করে দিয়েছেন আপনার ছেলেকে। আপনি কি সেটা জানেন?
রেন্টু: জ্বি অবশ্যই।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আমি জানতেও পারলাম না, মামলার কাগজ আমার হাতে আসলো। আমি আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ একাই প্রতিষ্ঠান চালায় (আল-জামিআহ আস সালাফিয়া মাদরাসা ( Al-Jami'ah Salafiya Madrasa ) ডাংঙ্গীপাড়া ( Dangipara ), রুপগঞ্জ)। আর আমার ছেলেরা আলহামদুল্লিলাহ ( Alhamdulillah ), শীর্ষস্থানীয় ছেলে। এটা জাতির কথা, আপনার কথা এবং আপনার পরিবারেরও কথা। আমার ছেলে আব্দুর রহমান আপনার ছেলেকে মেরে ফেলে দেবে এটার হিসাব! যাক আমি ওদিকে বলতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছি, ছেলেটার ক্ষতি করে দিলেন।
রেন্টু : ওস্তাদজি আমি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আমার অসন্তুষ্ট থাকাটায় আপনার ছেলের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ।
রেন্টু: জ্বি ওস্তাদজি।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আপনার ছেলেটাকে হেফাজতের জন্য (আল্লাহর গজব থেকে আপনার ছেলেটাকে রক্ষা করার জন্য) এখন আপনার ও আমার সহজ পথ, কোথায় গেলে মামলা উঠে যাবে সেটা বলা। আর আমি যে কষ্ট পাচ্ছি এটা তুলে ধরা। আব্দুর রাজ্জাক সাহেব এখানে একটা ভুল হয়েছে। আপনি আমার ছেলেকে মাফ করে দেন। আল্লাহ যেন আমার ছেলেটাকে মানুষ করে।
দ্বিতীয় অডিও কল রেকর্ডে শোনা গেছে।
রেন্টু : একটা শিশুকে কি পরিমাণে মারা হলে সেই শিশুটা বমি করতে পারে, মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে?
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : একটু আঘাতে মানুষ মারা যায়? আপনার ছেলে তো বেঁচে আছে। আব্দুর রহমান তো মারেনি। যারা চুরি করেছে তারা মেরেছে। আপনার ছেলেই চোর। আপনি কোর্টে কত দিন মামলা চালাবেন চালান, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই আব্দুর রাজ্জাক বিন ইসসুফের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রেন্টু : ওস্তাদজি, আমি আপনার ক্ষতি চাইতে পারি না। আপনি আমার ক্ষতি চাইতে পারেন। আমরা বিচার চাই।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : কোর্টে আপনি মামলা করছেন আমাকে জিজ্ঞাসা না করে। আমি প্রতিষ্ঠান চালায়। আপনি কত বড় খারাপ অভিভাবক তার হিসেব আছে।
রেন্টু : ঠিক আছে ওস্তাদজি, আমি খারাপ অভিভাবক, আমি মিথ্যাবাদী।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : শেষ কথা আপনি ধ্বং/সের জন্য প্রস্তুত হোন। চালান মামলা।
তৃতীয় অডিও কল রেকর্ডে শোনা যায়।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : আপনি কি প্রতিশোধের জন্য মামলা করেছেন।
রেন্টু: না…না, আমার ছেলের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : ন্যায়বিচার কোর্টে নেবেন।
রেন্টু: জ্বি ওস্তাদ।
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ : তাহলে তো আপনার সঙ্গে এত কথা বলে হিসেব করতে পারলাম না। ঠিক আছে আল্লাহ আপনার ছেলেকে ধ্বং/’স করুক। হারিযে যাক। আল্লাহ্ ব্যবস্থা করে দেবে। আপনি মা’মলা চালান।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান ভালোবাসি, মানুষের ছেলের ক্ষতি করব, এটা আমরা কামনা করি না। তবে সেই শিক্ষার্থীর বাবাকে কল দিয়েছিলাম। কি বলেছিলাম মনে নেই।
প্রহারের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাবা মেরাজুল ইসলাম রেন্টু ( Merajul Islam Rentu ) বলেন, এখনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ( police. ) মামলা তুলে নিতে অনেক ভয়ভী/’তি দেখানো হচ্ছে। আজকে পুলিশকে হুম”কির বিষয়টি জানাব।
ইসলামিক বক্তা আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ( Joseph ) নাতির বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ করায় চতুর্থ শ্রেণির মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে অনেক মা/রধর করার অভিযোগ উঠেছে ইউসুফের ( Joseph ) মেজ ছেলে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে প্রহারের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( Rajshahi Medical College Hospital ) ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
শিশুটিকে এতটাই পিটানো হয়েছে যে সে ব”মি করে দিয়েছে। এটা আসলে মনুষ্যত্বহীন একটা কাজ। এমন কাজ সত্যি বিবেককে নাড়া দেয়। কিভাবে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে এমন চরমভাবে প্রহার পারে। এরকম ঘটনা আসলে নজিরবিহীন। এমন মনুষ্যত্বহীন কাজের জন্য ছাত্ররা শিক্ষকদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান হারিয়ে ফেলে এবং তাদের প্রতি বৈরী মনোভব তৈরী হয়।