ড. কামাল হোসেন হলেন বাংলাদেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সেই সাথে তিনি রাজনীতিবীদ ও আইনজীবিও। যারা বনাগলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন ব্যক্তি। দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিটে তিনি প্রায় তার বক্তব্য প্রদান করে থাকেন। বর্তমানে ড. কামাল হোসেন গণফোরামের একাংশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঝুঁকি নিতে হবে।
গণফোরামের একাংশের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সত্য প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকরা নানা ঝুঁকি নিয়েছেন। আতাউস সামাদের মতো সাংবাদিকরা আজও ঝুঁকি নিচ্ছেন।
দেশের বর্তমান অবস্থায় স্বৈরাচার উচ্ছেদ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঝুঁকি নিতে হবে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত বিশিষ্ট সাংবাদিক আতাউস সামাদ এর দশম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল বলেন, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে, তাদের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ঝুঁকি না নিয়ে আমরা কখনো গণতন্ত্রকে বাঁচাতে দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে ঝুঁকি নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে হবে। এবং তারা যেন মনে না করে যে আমরা কিছু না করে ঐক্য ও আমাদের অধিকার রক্ষা করতে পারব। যারা স্বৈরাচার এবং যা ইচ্ছে তা করতে চায় তাদের তা করতে দেবো না আমরা।
কামাল বলেন, মানিক মিয়া ও আতাউস সামাদ পথে আছেন বলে সাংবাদিকরা এখনো উচ্ছ্বসিত। আমরা সারা জীবন দেখেছি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা লিখেছেন। নৈতিকতা দেখিয়ে সেই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে।
আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান হাফিজের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, কাদের গণি চৌধুরী, শামীমা চৌধুরী, সৈয়দ দিদার বক্স প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে যে সরকারই আসুক না কেনো তাকে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আসতে হয়। ঠিক যেমন ক্ষমতায় এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। জনগনের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে পরপর তিনবার বাংলার ক্ষমতায় এসে এবং বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন।