চট্টগ্রামে অবস্থিত কর্ণফুলী নদীতে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার আর সেটা হলো নদীটির তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। আর এই টানেল নির্মানের জন্য বাংলাদেশ সরকার চীন অবকাঠামোগত ও আর্থিকভাবে চুক্তি করে। কিন্তু চীন প্রথম দিকে টানেলে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছিল না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে চীন সফরের মধ্যমে যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলে সেটার পরও তারা রাজি হয়নি।
চীনের কাছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ঋণ প্রস্তাবের গল্প শোনালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা প্রথমে প্রস্তাব মানতে চাননি। একটু সমস্যা ছিল। চীন সফরে গিয়ে টেবিলে রাতের খাবার খাওয়ার সময় চীনা প্রধানমন্ত্রীকে আবারও এই প্রস্তাব দিয়েছিলাম।তখন তিনি খাবার টেবিলেই রাজি হয়ে যান। আমাদের টিমের সদস্যরা না খেয়ে সেই সময় বাইরে যায় এবং (প্রস্তাব) রেডি করে। পরে এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সাউথ টিউব নির্মাণের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আহমদ কায়কাউস।
শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সেতু বিভাগে কর্মরত কেউই খাবার শেষ করেননি। খাবার রেখে তারা উঠে চলে গেল। আর চীনা কর্তৃপক্ষও চলে যায়। তারা সব কাগজপত্র প্রস্তুত করে। আমি অপেক্ষা করি এবং রাত ১২টার দিকে আমার উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুর পর বঙ্গবন্ধু টানেল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যেটা বাংলাদেশে নির্মিত হতে যাচ্ছে। এই বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের পর চট্টগ্রামে স্থাপনার ক্ষেত্রে একটা ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হবে। এদিকে সরকার আরো বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করছে, যেগুলো বাস্তবায়ন হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি হবে।