বগুড়া জেলার ধরমপুর বাজার নামক এলাকায় একটি কোরবানির গরু হঠাৎ করে একটি প্রসাধনী ও জামা কাপড়ের দোকানে ঢুকে গিয়ে তাণ্ডব চালায়। গতকাল ৬ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যার পর এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে কোরবানির গরুটি হাট থেকে কিনে আনার পর ধরমপুর বাজারের একটি দোকানে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে, এরপর গরুটি ঐ পোশাকের দোকানটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সেসময় দোকানটি চালাচ্ছিলেন দুইজন নারী।
কাঁচের দরজা ভেঙে গরুটা সোজা গিয়ে তাদের দুজনের ওপর আছড়ে পড়ে। বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বেপরোয়া গরুটির গুঁতো আর ধাক্কায় তারা সামান্য আহ”ত হন। দৃশ্যটি জাফরিন কালেকশন নামের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।
দোকানের মালিক রিন্টু জানান, বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবেশী মনসুর মহাস্থানগড় হাট থেকে ষাঁড়টি কিনে ভটভটিতে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ভটভটি থেকে নামানোর সময় হঠাৎ ষাঁড়টিকে বেঁধে রাখার রশিটি ছিঁড়ে যায়। এ সময় ষাঁড়টি ভয় পেয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটির একপর্যায়ে দোকানে ঢুকে পড়ে। ওই সময় আমার স্ত্রী রত্না ও সিমা নামে এক মহিলা কর্মচারী ওই দোকানে কাজ করছিলেন। ভেতরে গিয়ে দেখি ষাঁড়টি দোকানের সব কিছু চু”রমার করে দিয়েছে।
রত্না খাতুন বলেন, সন্ধ্যায় দোকানে কাজ করছিলাম। তখনই গরুটি থাই কাঁচের দরজা ভেঙে ভেতরে চলে আসে। একপর্যায়ে শো-কেসের ওপর লাফিয়ে পড়লে তা ভেঙে যায়। এ সময় গরুটির লাফালাফিতে আমি ও সিমা আঘা”ত পাই। এ ঘটনায় তার প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দোকানের সাজসজ্জা, প্রসাধনী, জামাকাপড় ও তার দামি মোবাইল ফোন।
এদিকে গরুটির মালিক মনসুর রহমান দোকানে যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছেন, এমনটি জানিয়েছেন ওই দোকানের মালিকের স্ত্রী রত্না বেগম। সেলিম রেজা যিনি বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে, তারা নিজেরা সমস্যাটি মীমাংসা করেছেন।